সরকারি চাকরির কোটা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি

Posted on July 24, 2024

কর্পোরেট সঙবাদ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে মেধাভিত্তিক ৯৩ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ ভাগ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ ভাগ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ ভাগ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদসমূহ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

এতে আরো বলা হয়, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করা হয়েছে।

সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনোগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল গ্রেডে কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপন রহিত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করে গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

শুরুতেই আইনমন্ত্রী জানিয়ে দেন আপিল বিভাগের নির্দেশনা দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন মেনেই কোটার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যেখানে মেধায় নিয়োগ ৯৩ শতাংশ রাখা হয়। বাকি সাত শতাংশ কোটা। তবে নারী ও জেলা কোটা নেই। সরকারি, আধাসরকারি ও সায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে সরাসরি সব নিয়োগ হবে নতুন প্রজ্ঞাপনের আলোকে।

লিখিত বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্বের পুরো অংশ জুড়েই ছিলো ছাত্র আন্দোলন ও সহিংসতার বিষয়টি। আইনমন্ত্রী জানান, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মামলার বিষয়টিও থাকবে বিবেচনায়।