সেন্টমার্টিনে আটকা দুই শতাধিক পর্যটক

Posted on October 1, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল। ফলে বেড়াতে গিয়ে রাত্রীযাপনে থেকে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটক পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পিডবোট, সার্ভিস ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ইউএনও বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত শুক্রবার দুপুর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরে রয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত। এ কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টিপাত। রাতেও এ অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে শনিবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার যারা দ্বীপে গিয়েছিলেন তাদের মাঝে কিছু পর্যটক ওইদিন ফেরত আসেননি। যারা দ্বীপে রাতযাপন করছিলেন তারা শনিবার নৌযান চলাচল বন্ধের কারণে ফেরত আসতে পারেননি। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ পথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, হঠাৎ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরে দ্বীপে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন, তারা দ্বীপের সৌন্দর্যগুলো দেখছেন। সাইকেল চালাচ্ছেন, বাজার করছেন, সমুদ্র সৈকতে হাঁটাচলাসহ গোসল করছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসা প্রায় দুই শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। হঠাৎ করে সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সকল ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের বিপজ্জনক স্থানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।