নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ জন মানুষের মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগে। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া বিশ্বে হৃদরোগে প্রতি দেড় সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ‘ভালবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন’- এ প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য জানান।
হার্ট ব্লক হলেই ইন্টারভেনশন করা যাবে না জানিয়ে তারা বলেন, অনেক হার্ট ব্লক আছে যেগুলো শুধু ওষুধ সেবনেই ভালো রাখা যায়। হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে সবাই প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। এজন্য নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া নিয়মিত ঘুম, লবণ না খাওয়া, স্ট্রেস না থাকা ও ধূমপান না করলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে ধূমপান নিরোধের আইন প্রয়োগের তাগিদ দেন বক্তারা।
তারা জানান, বর্তমানে দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে হৃদরোগ ১ নম্বর থেকে ৪ নম্বরে নেমেছে। হৃদরোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় সঠিক নিয়মে দৈনন্দিন জীবনযাপন। হাসিখুশি থাকাও কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানে জীবনে শান্তি কামনায় মেডিটেনশ কাজ করে। শান্তিময় জীবনযাপনে আধুনিক বিশ্বে মেডিটেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সব হার্টের রোগীর ইন্টারভেনশন প্রয়োজন নেই। ইদানিং একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ডাক্তারের কাছে হার্টের রোগী গেলেই অপারেশনের (ইন্টারভেনশন) পরামর্শ দেওয়া হয়। একসময় চোখের ক্যাটার্যাক্ট (ছানি) হলে চিকিৎসকরা বলতেন, ক্যাটারেক্ট ম্যাচিউরড (পরিপক্ব) হলে ইন্টারভেনশন করো। ইম্যাচিউরড (অপরিপক্ব) অবস্থায় করা যাবে না। কিন্তু এখন ইম্যাচিউরড অবস্থায়ও করা হচ্ছে। যেটা ইথিক্যালি ঠিক নয়। চিকিৎসাসেবা প্রদানে অবশ্যই চিকিৎসকদের ইথিকস মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে। এরই মধ্যে শিশু হৃদরোগ বিভাগে সাত শতাধিক শিশুর হৃদরোগের অপারেশন করা হয়েছে। শিশুরা যেন রোগে না ভোগে, তারা যেন ত্রুটি নিয়ে না জন্মায়, সেজন্য মাতৃগর্ভে থাকতেই তা স্ক্রিনিং করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কর্মসূচির শুরুতে উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকের সামনে থেকে শুরু হয়ে সি-ব্লক অতিক্রম করে বেসিক সায়েন্স ভবন, টিএসসি ও এ-ব্লক ঘুরে বি-ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু হৃদরোগ বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা ও নার্সরা অংশ নেন।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
হৃদরোগে বিশ্বে প্রতি দেড় সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু https://corporatesangbad.com/47559/ |