শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

Posted on July 11, 2024

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার এই স্লোগানে মৌলভীবাজারসহ সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। সে সময় আশ্রয়কেন্দ্রের ঘর দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন ১০টি হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মিরাশ মিয়ার বিরুদ্ধে।

প্রায় চার বছর আগে ঘর দেওয়ার কথা বলে সাবেক এই মেম্বার তার ভাগিনা রিপনের মাধ্যমে এ টাকা নেন। এরপর বছরের পর বছর চলে গেলেও এদের কাউকেই তিনি সরকারি ঘর দিতে পারেননি। এখন ঘর দেওয়া দূরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো টাকা নেয়ার বিষয়টি এখন অস্বিকার করে গালিগালাজ করেন মিরাশ মেম্বার, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী দশটি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের। তাঁরা বলেন আমরা গরীব মানুষ কিস্তি নিয়ে তাকে টাকা দিয়েছি এখন অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সেই ঋণ পরিশোধ করছি।

একাদিক ভূমিহীন ভুক্তভোগী মো: নাঈমুল হক, জবা বেগম, মায়ারুন বিবি জানান এ বিষয়ে মিরাশ মেম্বার এর সাথে কথা বলতে গেলে ঘর দেওয়ার কথা বলে তিনি টাকা নেননি তবে তার ভাগিনা রিপন টাকা নিয়েছে স্বীকার করে। ততক্ষণাৎ তিনি ক্যামেরার সামনেই ভুক্তভোগীদের ওপর চড়াও হন সাবেক এই মেম্বার। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আমাদের ঘর দরকার নেই, এখন টাকা ফেরত চাই, টাকাটা পেলে আমরা ঋণের বুঝা থেকে মুক্তি পাব। এমনটাই দাবী ভুক্তভোগীদের।

অভিযুক্ত কালাপুর ইউপি পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মিরাশ মিয়া বলেন, ভুক্তভোগীরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের জন্য আমাকে নিয়ে টাকা দেওয়া হয়েছে! আমার হাতে টাকা নিয়েছে কি! আবার তিনি বলেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের জন্য আমাকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।

এদিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে কেউ টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে সেটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।