রুপপুরে যাচ্ছে ইউরেনিয়াম, পাবনা-ঢাকা রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ

Posted on September 29, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ঢাকা থেকে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েলের বা (ইউরেনিয়াম) পরিবহনের প্রথম চালান। তাই পাবনা-ঢাকা রুটে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। 

বিশেষ নিরাপত্তাবলয় নিশ্চিত করতে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে এ রুটে কোনো পরিবহন চলছে না।

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, ‘পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সেতু পথে প্রচুর যানজট তৈরি হয়। ফলে ইউরেনিয়াম বহনকারী যানবাহন আসতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণেই মহাসড়কটি যানজট মুক্ত রাখতে ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ইউরিনেয়াম প্রকল্পে পৌঁছে গেলেই বাস চলাচল শুরু হবে।’

তিনি জানান, ‘তবে বিকল্প হিসেবে পাবনা থেকে কাজিরহাট ফেরিঘাট নৌপথে আরিচা হয়ে ঢাকায় চলাচল করা যাবে। ঢাকাগামী যাত্রীরা জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াত করতে এ রুটটি ব্যবহার করতে পারবেন।’

এ ইউরেনিয়াম পরিবহনে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছাবে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান।

এদিকে, বাস চলাচল বন্ধের এই সিদ্ধান্তে পাবনা থেকে ঢাকাগামী প্রতিটি গাড়ির টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত মালিক পক্ষ বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

পাবনা জেলা মটর মালিক গ্রুপের সভাপতি কাফি সরকার বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে আমরা টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে দিনের যে কোন সময় বাস চলাচল শুরু করা হবে।’

রূপপুর প্রকল্পের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে সফলভাবে দেশে পৌঁছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান।

রোসাটমের জ্বালানি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্ট (এনসিসিপি) রূপপুরের এই জ্বালানি উৎপাদন করছে।

আগামী ৫ অক্টোবর রূপপুর প্রকল্পে এ জ্বালানি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এ জ্বালানি হস্তান্তর করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিটের মাধ্যমে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ