এন জি চক্রবর্তী
দ্বিতীয় ভাগ।
একুশ অধ্যায়। (২৬তম অংশ)
অংশীদারী কারবারের হিসাব।
সঠিক এন্ট্রিসমূহ।
ব্যবসায়িক ধরণের বহুচর্চিত একটার নাম হচ্ছে অংশীদারী বা পার্টনারশীপ।
সিল্ক, মসলা, তুলা, রং, ফাইনান্স-ব্যবসায়িক পণ্য যাইই হোক না কেন সে ব্যবসা যদি দুই বা তার বেশী লোক একসাথে মিলে করে তাকে বলি অংশীদারী বা পার্টনারশীপ।
হিসাবের প্রচলিত খাতাপত্রের মধ্যেই পার্টনারশীপের লেনদেন একটু ভিন্নভাবে হিসাবভুক্ত করতে হয়। মেমোরেন্ডাম দিয়েই শুরু হবে তবে এখানে তারিখের পরেই এ অংশীদারী কারবারের যাবতীয় শর্ত উল্লেখ করে তার সমর্থনে পার্টনারশীপের দলিলসহ অন্যান্য কাপজপত্র একসংঙ্গে রাখতে হবে। তার মধ্যে থাকবে:
- পার্টনারশীপ ব্যবসার উদ্দেশ্য;
- শর্তাবলী;
- প্রত্যেক পার্টনারের শেয়ারের পরিমান;
- প্রয়োজনীয় কর্মচারী ও শিক্ষানবীশের সংখ্যা;
- প্রত্যেক পার্টনারের মূলধনের পরিমান;
- ফার্মের স্বীকৃত সম্পদ ও দায়ের পরিমান।
আপনি যদি আপনার নিজস্ব ব্যবসার সাথে একই সংগে পার্টনারশীপ ব্যবসারও হিসাব রাখতে চান তা হলে পার্টনাররা যে যতটুকু মূলধন নগদে নিয়ে এল তার জন্য নগদকে ডেবিট আর তার তার নামে মূলধন হিসাবকে স্ব স্ব পরিমানে ক্রেডিট করুন। নিজের যদি আলাদা ব্যবসা থাকে তবে সবচেয়ে ভাল আপনার হিসাবের থেকে পার্টনারশীপ হিসাবের জন্য এক সেট আলাদা খাতাপত্র রাখা।
আর যদি মনে করেন যে, না নিজের ব্যবসার সাথে মিলিয়েই রাখবো,তাহলে আপনাকে পার্টনারশীপের জন্য নুতন হিসাব খুলতে হবে। নইলে, পার্টনারশীপের এ হিসাবগুলি আপনার নিজের হিসাবের সংগে মিলিয়ে এমন ঝামেলা তৈরী করবে যার জট খোলা মুস্কিল। তাই সেক্ষেত্রে আগে থাকতেই পৃথক হিসাব খোলাই উচিত। সব হিসাব একসাথে রাখলে মেমোরেন্ডাম, জার্নাল ও লেজার কীভাবে রাখতে হবে নিচে তা দেখানো হলো। আর যদি আলাদা অলাদা রাখেন তা হলে আপনাকে আর নুতন করে কিছু শেখাবার নেই।
ধরা যাক মেমোরেন্ডামের লেখাটা এ রকম-পার্টনার তিনজন, পশম কেনা বেচা হলো ব্যবসা, অত বছর ব্যবসাটা চলবে আর বিস্তারিত তথ্য আর শর্ত সংশ্লিষ্ট দলিলে উল্লেখ আছে। সবকিছুর দাম টাকায় ধরে পার্টনারদের মধ্যে একজন তাঁর মূলধন দিয়েছে ক্যাশে বা নগদে, আরেকজন দিয়েছে ফরাসী পশম দিয়ে আর বাকীজন এলসি দিয়ে। আপনার যে নিজের ব্যবসা আছে তার থেকে পার্টনারশীপের ব্যবসা পৃথক রাখার জন্য এমনভাবে এর মূলথন আর ক্যাশের জার্নাল করতে হবে যাতে সহজেই বোঝা যায় যে এটা পার্টনারশীপের জার্নাল।
প্রথমে ক্যাশের পরে অন্যান্য জার্নালগুলো দিন:
এতটুকু বলার পর আমার মনে হয় না এর চেয়ে আর বেশী কিছু বলার দরকার আাছে।
আমার এও মনে হয়না যে আপনাদের আর এই জার্নালগুলোর লেজার পোষ্টিং কিভাবে হবে তা আবার দেখাতে হবে। জার্নালের ডেবিট ক্রেডিট খেয়াল রেখে লেজারে পোষ্টিং দেবেন। ১৫ এবং এর পূর্ববতী অধ্যায়সমূহ বিশেষভাবে ১২নং অধ্যায়ে যা বলা আছে তা অনুসরণ করুন আর জার্নালে লেজারের পাতা নং আর লেজারে জার্নালের পাতা নং দিতে যেন ভুল না হয়। আরো একটা কথা লেজারের সূচীপত্রটি আপডেট করুন। (চলবে)
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
ফ্রা লুকা ডি প্যাসিওলি’র ‘পার্টিকুলারিস ডি কম্পিউটিস এট স্ক্রিপচার্স’ (এ্যাকাউন্টিং বুকস্ এ্যান্ড রেকর্ডস) এর অধ্যাপক জেরেমি ক্রিপসকৃত ইংরেজি অনুবাদ থেকে বঙ্গানুবাদ https://corporatesangbad.com/473197/ |