পাইকারিতে ১০০ ডিমে দাম কমেছে ৪০ টাকা

Posted on September 26, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না ডিমের দাম। এ অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি মেলে। পরে সে অনুমোদন বাড়িয়ে ১০ কেটি পিস করা হয়। এরপর গত ৯ দিনে দুই দফায় পাইকারিতে কিছুটা কমে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।

প্রথম দফায় গত সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০টি ডিমের দাম ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে। শেষ দফায় গত দুদিনে কমেছে আরও প্রায় ২০ টাকা। এতে আমদানির খবরের পর থেকে নয়দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কমেছে প্রতি একশোতে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় কমেনি। এখনো অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৫০ বা তার আশপাশে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। আবার কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ডিম খেতে হচ্ছে।

এর আগে সরকার ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি পিস ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ খুচরায় প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা বেশি। যদিও কোনো বাজারের দোকানে এখন ৪৮ টাকায় ডিম মিলছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শান্তিনগর ও বাসাবো বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়। তানা জানান, পাইকারিতে ১০০ পিস বাদামি রঙের ডিম কিনেছেন এক হাজার ১৩০ থেকে এক হাজার ১৪০ টাকায়, গতকাল যা ছিল এক হাজার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এতে তাদের প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ পয়সা পর্যন্ত।

এদিকে এলাকার বাজারের অধিকাংশ দোকানীরা এসব ডিম বিক্রি করছেন প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা দরে। অর্থাৎ ১২ টাকা ৮ পয়সায়। তবে হালি নিলে নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা দর। প্রতিটি সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত।

সেগুনবাগিচার ডিম ব্যবসায়ী মমিন হোসেন বলেন, দুদিন আগে পাইকারিতে ডিমের দাম ১৫-২০ টাকার মতো কমেছে। দাম আরেকটু কমলে ১২ টাকায় বিক্রি করে লাভ হবে। এখন ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করলে লাভ থাকে না। পরিবহন খরচ, ডিম ভেঙে যাওয়া, দোকান ভাড়া ও শ্রমিক খরচ হিসাব নিলে প্রতিটি ডিমে এক টাকা লাভ রাখতে হয়।

ডিমের দাম কমার বিষয়টি ওঠে এসেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) হিসাবেও। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা হালিতে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় দুই টাকা কম।

অন্যদিকে বর্তমানে ডিমের বাজার স্থিতিশীল বলে উল্লেখ করে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ বলেন, ডিমের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা কম। এখন সরবরাহ ভালো। দাম ধীরে ধীরে কমছে। গত দুদিনে দাম একশোতে ২০ টাকা কমেছে।