খালেদা জিয়া ও গণমাধ্যমে ভিসানীতি প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

Posted on September 26, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতিতে সর্বশেষ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধেও প্রয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদসহ কয়েকটি শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের ওপর ইতিমধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই প্রসঙ্গটিই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এছাড়া ভিসা নীতি ঘোষণার অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশে আলাদা করে যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগের খবরের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান জানতে ম্যাথিউ মিলারের কাছে প্রশ্ন করেন।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যখন গত মে মাসে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিলেন, এর উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও পক্ষ নেওয়া নয়, বরং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধগুলো ঘোষণা করেছিলাম তখনও আমরা উল্লেখ করেছি, এই নীতির মধ্যে – আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীরাও অন্তর্ভুক্ত আছেন।’

এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘চিকিৎসার অবস্থা খুবই গুরুতর’ উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?

এ প্রশ্নে বিস্তারিত জবাবে না গিয়ে এক কথায় বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

পরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই বিষয়টি ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আপনি কি মনে করেন না যে, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?

গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা (ইতোমধ্যেই) যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করিনি, কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে এটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।’