বিমান বাংলাদেশ, নতুন এমডি কক্সবাজারের শফিউল আজিম

Posted on December 11, 2022

বদরুল ইসলাম বাদল: "আকাশে শান্তির নীড়"এই শ্লোগান ধারণ করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী উড়োজাহাজ আকাশে উড়ছে। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আকাশ পথের এই পরিসেবাটি চালু করেন। তখন সংস্থাটির কোন উড়োজাহাজ ছিল না, বিমানবাহিনীর একটি ডিসি- ৩ উড়োজাহাজ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। বর্তমানে সংস্থাটির ২১টি বিমান বহর। কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য যে আকাশপথের এই মাধ্যমটি শুরু থেকে আজ অবধি প্রায় বছরই লোকসান গুনছে। নিম্নমানের যাত্রীসেবা, যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব, সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ এবং দুর্নীতিকে দায়ী করছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞগণ। তাই রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলেসাজানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিমানের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, যাত্রীসেবা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে শিক্ষা, কারিগরী মান উন্নয়নে গুনগতমান পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। যাতে অধিক যাত্রী আকর্ষণ এবং বিদেশী প্রকৌশলী নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।

এই বিষয়ে তিনি মত প্রকাশ করে বলেন যে, "প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং কার্যকর করার দিকে আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। যাতে আর অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে না হয়।এতে আমাদের অনেক বৈদেশীক মুদ্রা ও সাশ্রয় হবে"।

বিমান নিয়ে শেখ হাসিনার আন্তরিকতা নিয়ে বিমানের সাবেক পরিচালক জন কেভিন ষ্টীল তার মতামতে বলেন যে, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানকে সন্তানের মতো ভালবেসে তদারকি করেন,পৃষ্ঠপোষকতা করেন তারপরও সে প্রতিষ্ঠান কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, কেন লাভের মুখ দেখছে না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে"। বিমানের সার্বিক উন্নয়ন সাধনে শেখ হাসিনার মতো এত দরদ, আগ্রহ, সর্বাত্মক সহযোগিতা করার নজির বিশ্বে অন্য রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে বিরল বলে উল্লেখ করেন জন কেভিন। তিনি অকপটে বিমান ম্যানেজমেন্টকে সরাসরি লোকসানের জন্য দায়ী করে দূনীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করেন।তিনি বিমান কে বিপুল সম্ভাবনার একটি আকাশ পরিসেবা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজকে যাত্রীবান্ধব এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আস্তা রাখেন কক্সবাজারে সন্তান যুগ্মসচিব শফিউল আজিম এর উপর। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের প্রয়াত চিকিৎসক ডাঃ আজিম উদ্দিন আহমেদের সন্তান। এর আগে তিনি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (বিধি ও সেবা)নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ১৫তম ব্যাচের একজন ক্যাডার। বিমান বাংলাদেশ এর এমডি হিসাবে নিযুক্তিতে কক্সবাজারবাসী গর্বিত আনন্দিত। সৎ সাহসী, নির্লোভ এবং সজ্জন শফিউল আজিম রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানকে তার মেধা এবং পরিকল্পনা নিয়ে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলবেন আশাবাদী কক্সবাজারবাসী। শফিউল আজিম আমার জেঠাত ভাই। উনার দাদার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছা পাড়া। সকলের দোয়া এবং ভালবাসা অকৃত্রিম।

লেখক : বদরুল ইসলাম বাদল, সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি।