বর্জ্য দূষণ রোধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা

Posted on July 20, 2017

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবারের ঈদ-উল আযহায় ঢাকাসহ দেশের ছোট বড় সব শহরে এবং পৌর এলাকায় রাস্তাঘাটে আর পশু কোরবানি করা যাবে না। যদিও গত বছর ঢাকার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। আর অল্প কিছুদিন পরই ঈদ উল আযহা। এই ঈদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। তবে কোরবানির ঈদের দিন প্রকাশ্যে এমনকি সড়কগুলোতে যত্রতত্র পশু জবাই দিতে ও জবাইয়ের পর বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়।

মূলত ঈদের দিন থেকেই পরবর্তী কয়েকদিন বহু সড়কে হাঁটাচলা করাই অসহ্য হয়ে পড়ে নগরবাসীর জন্য যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিলো।

বুধবার ঢাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে এবার শুধু ঢাকা নয় কোন শহরেই সড়কে পশু জবাই দেয়া যাবেনা, বরং এটি করতে হবে নিজ নিজ বাড়িতে বা নির্ধারিত স্থানে।

গত বছরও এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েও কার্যকর করা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা চেষ্টা করবেন এবার রাস্তায় কোরবানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে।"বিকল্প স্থান ঠিক করা হয়েছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪৯ ও দক্ষিণে ৫৫০টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে কোরবানির জন্য।এবার সারা দেশেই এমন নির্ধারিত স্থান থাকবে কোরবানির জন্য"।

কিন্তু গত বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সেই উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত সেরকম সাড়া মেলেনি। এবার যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে রাস্তায় পশু কোরবানি দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, সেটি কার্যকর করা কতটা সম্ভব হবে?

ধারাণা করা হচ্ছে এবারের ঈদে প্রায় শুধুমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রায় পৌনে তিন লাখ পশু কোরবানি হবে। এক্ষেত্রে পশু জবাই করার নির্ধারিত স্থান প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।যে কারণে গতবার সাড়া পাওয়া যয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। 

তবে নিয়ম নীতি, আইন-কানুন যাই হোক না কেন, পশু জবাই দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো সচেতনতা। নিজেদের দায়বদ্ধতা। কারণ, পশু জবাইয়ের ফলে তার বর্জ্য থেকে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তার কুফল সবাইকে পেতে হবে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার কসাইখানাগুলোর পরিবেশ সুরক্ষায় সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে এই বর্জ্য দুষণের কবল থেকে শহরবাসীকে স্বস্তি দিতে হবে।