প্রস্তাবিত 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭'; বাস্তবতা ও কঠোরতা

Posted on March 29, 2017

কঠোর সাজার বিধান রেখে অনুমোদন দেয়া হয়েছে 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭' খসড়া আইন। এতে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে মৃত্যুর সাজা তিন বছর বহাল থাকলেও, যুক্ত হয়েছে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান। চূড়ান্ত এ খসড়াটি সংসদে পাস হলে আইনে পরিণত হবে।

প্রস্তাবিত আইনে লাইসেন্স পেতে চালকের বয়স ২১ বছর এবং অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে। সড়কে নিয়ম ভঙ্গ করলে দোষসূচক পয়েন্ট কাঁটা যাবে চালক ও তার সহকারীর লাইসেন্স থেকে। মোট ১২ পয়েন্ট থাকবে লাইসেন্সে। ৬ পয়েন্ট কাঁটা গেলে এক বছরের জন্য লাইসেন্স স্থগিত হবে। পূর্ণ পয়েন্ট কাঁটা গেলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। বাতিলের এক বছরের মধ্যে আর লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। তৃতীয়বার বাতিল হলে আর কখনোই লাইসেন্স পাবেন না ওই চালক বা তার সহকারী।

ওজন সীমা লঙ্ঘনে ৩ বছর কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত গতিসীমা লঙ্ঘনের সাজা ২ বছর কারাদ-। প্রস্তাবিত আইনানুযায়ী, ৬ মাসের বন্দিত্ব বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দোষ করলে পুলিশ বিনা পরোয়ানাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে। একই দোষ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ সাজা ভোগ করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, দন্ডিতের বিচার দ-বিধি ৩০২, ৩০৪, ৩০৪ (ক), না ৩০৪ (খ) ধারায় সম্পন্ন হবে। তবে ধারা ব্যবহার থাকবে আদালতের এখতিয়ারে।

প্রস্তাবিত আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, আইনে ধারা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। কারণ; সড়কে এমন প্রচুর মৃত্যু ঘটে, যার বিচারের প্রতি গণমাধ্যম বা ভিন্ন কারও মনোযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে ৩০৪ (খ) ধারায় বিচার হবে। অপরাধীর মাত্র ৩ বছর সাজা হবে। প্রস্তাবিত আইনে যতটা সাজার বিধান রাখা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করাকেও শক্ত মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। তবে এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে বাস্তবতার আলোকে আরো বেশি কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাঁদের।