ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। ক্রমাগত চাহিদার কারণে বইমেলার বিস্তৃতি এখন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে এর সম্মুখে অবস্থিত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী এবারের বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। অমর একুশে বইমেলা ২০১৭ উপলক্ষে মেলার দর্শনার্থী, পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও আয়োজকদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে রইল শুভকামনা।
অমর একুশে বইমেলা লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের মাসব্যাপী মিলনমেলা। দেশে প্রকাশিত মোট জ্ঞান ও সৃজনশীল বইয়ের বেশিরভাগই প্রকাশিত হয় এ মেলা উপলক্ষে। এসব বইয়ের মাধ্যমে বাংলা ভাষা বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলা সাহিত্যভান্ডার। আমাদের বিশ্বাস, সৃজনশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে উজ্জীবিত করতে এবারের বইমেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
একুশে বইমেলাকে উপলক্ষ করে বহু সম্ভাবনাময় তরুণ লেখকের সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া কবি-লেখক-গবেষকদের সৃষ্টিকর্মেও উঠে আসে নতুন সম্ভাবনা। লেখক, প্রকাশক ও বইপ্রেমীদের নিয়ে এই মেলা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। তবে শুধু বইমেলা ছড়িয়ে দিলেই সার্থকতা চলে আসবে না, ভালো বই পাঠকদের জন্য সরবরাহ করতে হবে। যেনতেনভাবে নতুন বই মেলায় আনার প্রবণতায় মানহীন বই, তথ্য ও মুদ্রণত্রুটিযুক্ত বইয়ে বাজার ভরে যাচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এই প্রবণতা পরিহার করা উচিত।
বইমেলায় মানুষের মৌলিক অধিকার, ধর্মীয় অনুভূতি বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টিতে উসকানি দেয়-এমন বই প্রকাশের ওপর এবার নজরদারি করবে পুলিশ। তবে পুলিশের এই নজরদারি মুক্তচিন্তাকে যেন বাধাগ্রস্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে মুক্তচিন্তার নামে যেন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে, কারও মৌলিক অধিকার যেন হরণ না হয়, সেসব বিষয়েও লেখক-প্রকাশকদের সতর্ক থাকতে হবে। মাতৃভাষা চর্চার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এবারের বইমেলা উৎসবমুখর হবে। সবার প্রাণের এই মেলা সফল ও নিরাপদ হোক, সেটাই সবার প্রত্যাশা।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
সফল হোক বইমেলা, বিকাশ ঘটুক মুক্তচিন্তার https://corporatesangbad.com/467751/ |