এলপিজির দাম বেশি নিলে ডিলারদের লাইলেন্স বাতিল: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

Posted on September 24, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরলীকৃত পেট্রেলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা। এখন থেকে নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রয়োজন হলে ডিলারদের লাইলেন্স বাতিল করা হবে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দামে এলপিজি বিক্রি করতে বলা হচ্ছে, বাজারে তার থেকে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। এরপর থেকে নজরদারি বাড়ানো হবে। দরকার হলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, যাদের ডিলারশিপ দেয়া হয়, সেখানে এজেন্ট, সাব-এজেন্ট হয়ে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে দাম বেড়ে যায়।

নসরুল হামিদ বলেন, অনেকেই গ্যাসের লাইনের জন্য আসেন, যেটির আপাতত প্রয়োজন নেই। এখন থেকেই এলপিজিকে সর্বাত্মকভাবে জনপ্রিয় করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাসের অধিকাংশ পাইপলাইন লিকেজ রয়েছে। পাইপলাইনগুলো ৫০ থেকে ৬০ বছর পুরনো। এক্ষেত্রে তিতাস একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে পাইপলাইন ঠিক করতে ৫ থেকে ৬ বছর লাগবে।

তিনি বলেন, পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গেলে প্রচুর পরিমাণের চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোথায় কিভাবে গ্যাস দেব, তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

দেশের গ্যাস সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করা হবে সেটির ব্যাপারে একটি সর্বজনীন নির্দেশনা দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য একটি পারমর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বছরে ১৪ লাখ টন এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটিকে নিরাপদ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেমিনারে কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব খলিলুর রহমান খানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতি মাসেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত দামে কোথাও এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না। গত কয়েক মাস ধরেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে গ্রাহকদের এলপি গ্যাস কিনতে হচ্ছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, আগে সিলিন্ডারপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হতো। এখন তা এলাকাভেদে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে।