ইবিতে ৬টি ব্যাচের একটি ক্লাসরুম, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

Posted on September 22, 2023

ইবি প্রতিনিধি:  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ৬ টি ব্যাচের জন্য মাত্র একটি ক্লাসরুম বরাদ্দ রয়েছে। ক্লাসরুম সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস নিতে পারছেন না বিভাগের শিক্ষকরাও। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভাগের ৬ ব্যাচের প্রায় ৪৫০জন শিক্ষার্থী।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের মাত্র একটি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষার জন্য। মাত্র একটি ক্লাসরুমে চলছে ৬টি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা। এছাড়া একটি সভাপতির রুম ও একটি উপ-রেজিস্ট্রারের কক্ষ রয়েছে এই বিভাগে। ক্লাসরুম সংকট নিরসনে বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিম বানু ২ বার, অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমিন ১ বার ও বর্তমান সভাপতি সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ ২ বার প্রশাসন বরাবর আবেদন করলেও প্রশাসন থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়।

বিভাগের শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, ক্লাসরুম সংকটে শিক্ষকরা সকল ব্যাচের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা নিতে পারছেন না। রুটিন মেনে ক্লাস নিতে পারছেন না বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। 

বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, একটি ক্লাসরুম বরাদ্দ থাকায় নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। রুটিন অনুসারে সময় মতো ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া এক ব্যাচের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচের এর শিক্ষার্থীরা একই ক্লাসরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। এতে মনোসংযোগে যেমন ব্যাঘাত ঘটে ক্লাসরুমে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তেমনি অস্বস্থি বোধ করেন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও। কোনো ব্যাচের পরীক্ষা চললে সেদিন একটা বা দুইটার বেশি ক্লাস নেওয়াও সম্ভব হয় না। একই দিনে দু'টি ব্যাচের পরীক্ষা থাকলে সেদিন কার্যত কোন ক্লাসই হয় না। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে অন্যান্য বিভাগের ক্লাসরুম খালি থাকলে অনুরোধ করে ক্লাস নেন।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ বলেন, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রশাসনের কাছে বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হয়েছে, দেখা করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া একটি ক্লাসরুম দিয়ে ৬ ব্যাচের পরীক্ষা-শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করা শিক্ষকদের জন্য কষ্টসাধ্য ও রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাও বিভাগের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় সেশনজট নিরসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি জানি শিক্ষার্থীদের কষ্টের বিষয়টা। আমাদের কিছু কিছু বিল্ডিং সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভাগগুলোতে প্রায়োরিটি অনুসারে ক্লাসরুম প্রদান করা হবে।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ