পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির জন্য ডব্লিউএফই‘র গ্রিন ইকুইটি নির্দেশনা প্রকাশ

Posted on September 16, 2023

কর্পোরেট ডেস্ক: বিশ্বের স্টক, ফিউচারস ও অপশন এক্সচেঞ্জগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হলো ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস (ডব্লিউএফই)। পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির জন্য সংস্থাটি ডব্লিউএফই গ্রিন ইকুইটি প্রিন্সিপালস নামে একটি গাইডেন্স (নির্দেশনামূলক) নোট প্রকাশ করেছে। এ মূলনীতিগু‌লো তা‌লিকাভুক্ত শেয়ারকে গ্রিন হিসে‌বে আখ্যা‌য়িত করার প্রথম বৈ‌শ্বিক কাঠামো।

গ্রিন ইকুইটির মূলনীতিতে পাঁচটি স্তম্ভের কথা তুলে ধরেছে ডব্লিউএফই। সেগুলো হলো (ক) কোম্পানির রাজস্ব বা বিনিয়োগ অবশ্যই ‘‌গ্রিন’ কার্যক্রমের উৎস থেকে আসতে হবে, (খ) নির্দিষ্ট শ্রেণীবিন্যাস ব্যবহার করতে হবে, (গ) নিয়ন্ত্রণ (বিদ্যমান তালিকাভুক্তির শর্তগুলো), (ঘ) অনুমোদিত পর্যালোচকের মাধ্যমে বার্ষিক মূল্যায়ন ও (ঙ) গ্রিন শ্রেণীবিন্যাসের প্রক্রিয়া ও পর্যালোচনাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা।

‌নি‌র্দেশনামূলক নোটটি এক্সচেঞ্জগু‌লোর প্রায়ো‌গিক বিবেচনার জন্য ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে, যারা ড‌ব্লিউএফইর গ্রিন ইকুইটি শ্রেণীবিন্যা‌সের স‌ঙ্গে একাত্ম হ‌য়ে তালিকাভু‌ক্তির প্রস্তাব কর‌বে এবং মূলনীতির পাশাপা‌শি প‌রিচালন বিষয়গু‌লো অন্তর্ভুক্ত কর‌বে।

পরিচালন বিষয়গু‌লো হ‌চ্ছে শ্রেণীকর‌ণ তদার‌কির জন্য এক্স‌চে‌ঞ্জের ম‌ধ্যে দা‌য়িত্বশীল ব্যক্তি ম‌নোনীত করা, শ্রেণীবিন্যাস বা‌তি‌লের প্রাস‌ঙ্গিক প্রক্রিয়া ও মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করা, শ্রেণী‌বিন্যা‌সের বৈ‌শিষ্ট্য ও সর্বসাধার‌ণের ত‌থ্যের বিধানের উন্নয়ন করা এবং পর্যা‌লোচক‌দের যথার্থতা মূল্যায়‌নের মানদণ্ড নির্ধারণ করা।

ডব্লিউএফই চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নন্দিনি সুকুমার বলেন, ‘বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির জন্য দ্য ডব্লিউএফই গ্রিন ইকুইটি প্রিন্সিপালস একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। আমরা অধিকতর টেকসই বৈশ্বিক অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি। গাইডেন্স নোটটি টেকসই অর্থায়নে এক্সচেঞ্জগুলোর স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং গ্রিন ওয়াশিং ঝুঁকি মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে।

নোটটিতে পাবলিক মতামতের জন্য ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময় দেশের পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে কমে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪০৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ৯৯টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৪টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ৩৪টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ২ হাজার ৮৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৬২২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক লেনদেন ছিল ৬৫৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ৯ দশমিক ৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জীবন বীমা খাত। মোট লেনদেনের ৭ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিবিধি খাত। আর ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল সাধারণ বীমা, ভ্রমণ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। এ তিন খাতে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, ১ দশমিক ৮ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি, বিবিধ ও পাট খাত। এ তিন খাতে রিটার্ন কমেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, ১ দশমিক ১ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৬২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ১১ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ১৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৫৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ৭৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৯টির বাজার দর।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ