ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ, আমদানির সিদ্ধান্ত

Posted on September 14, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : ডিমের দাম প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে অল্প পরিমাণে আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে।

এদিকে আলু ও পেঁয়াজের দামও বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আলুর দাম হবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ভোক্তা পর্যায়ে। আর পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার মাঠে থেকে এটি মনিটরিং করবেন।

তিনি বলেন, বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন ন্যায্যদাম কার্যকর করবো।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৬৯ টাকা এবং ১৫৯ টাকা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এক থেকে দুই দিনের মধ্যে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, আবশ্যিক কারণে বিভিন্নভাবে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর তেল ও ডালের দাম বেড়েছে। এগুলো দেশে যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন না হওয়ায় বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। প্রায় ৯০ ভাগ খাবার তেল ও প্রায় ৯৯ ভাগ চিনি আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া ডালও আমদানি করতে হয়। বিশ্ব বাজারে এগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে দাম বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন করে টিসিবির কার্ড করা হচ্ছে। আমরা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিগুলো শিগগির মানুষ হাতে পেয়ে যাবে। কার্ডের কাজ চলছে।

দেশে সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এরমধ্যে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল-ডাল, তেল-চিনিসহ অনান্য সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষ এ সেবায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একটি পরিবারে গড়ে পাঁচজন করে সদস্য থাকে। প্রতি মাসেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি। যারা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের হাতেই পণ্য দিতে হবে। সামনে যেহেতু ডিজিটাল কার্ড সরবরাহ করা হবে তাই এ বিষয় নিয়ে আর দুশ্চিন্তা থাকবে না। তারপরও যদি কোনো দরিদ্র মানুষ টিসিবির সেবা থেকে বাদ পড়েন, সে বিষয় আমরা দেখবো।