মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

Posted on September 14, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে, ভোর ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করতে যোগ দেয় নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপনী সাহায্যকারী দল। এর আগে, আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুনে পুড়ে গেছে মার্কেটের চার ভাগের তিন ভাগ, সেখানে ফায়ার সেফটি ছিলো না। আগুনের এই ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আগুনে শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যোগ দিয়েছে।

আগুনে মার্কেটের প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেট ও কাঁচা বাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০টি দোকান ছিল।

ভয়াবহ আগুনে ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে মার্কেটের সামনের অংশে থাকা ৯টি ও ভেতরে ৯টি দোকান রয়েছে।

এছাড়া আগুনে পুড়ে গেছে আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স ও মা জুয়েলার্স।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে হক বেকারি থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে বাতাসে মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেট বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিস প্রথমে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এজন্য আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।