শেরপুরে ফরিদা হত্যা মামলায় ৩ যুবকের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন

Posted on September 13, 2023

আল আমিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার গৌরীপুর মহল্লার চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যা মামলায় ৩ যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।

আসামিরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেরপুর পৌরসভার গৌরীপুর মহল্লার যোগেন বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ঠোঁটকাটা জাহাঙ্গীর ও রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস ছালামের ছেলে আলাল উদ্দিন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি এ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র দে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট রাতে শেরপুর জেলা শহরের পশ্চিম গৌরীপুর মহল্লার মৃত আব্দুস সালামের স্ত্রী ফরিদা বেগমের বাসায় চুরি করতে ঢুকে ওই মহল্লার মাদকাসক্ত যুবক লিটন, জাহাঙ্গীর, শামীম ও আলাল উদ্দিন। এসময় বৃদ্ধা ফরিদা বেগম তাদের চিনে ফেলায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ওই আসামিরা। এঘটনায় পরদিন বৃদ্ধা ফরিদা বেগমের ছেলে সুমন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সন্দেহভাজন আসামি জাহাঙ্গীর ও লিটনকে গ্রেফতার করে এবং তারা ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে বৃদ্ধা ফরিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী পরবর্তীতে পলাতক শামীম ও আলালকে গ্রেফতার করা হয়।পরে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই ৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক হারুন-অর-রশীদ। পরে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এদিকে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহত বৃদ্ধার পরিবার।