৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েব: বিমানবন্দরের ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

Posted on September 12, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫৫ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় চার রাজস্ব কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টমস হাউস কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের ট্রানজিট এবং মূল্যবান গুদামে দায়িত্বকালে সঠিকভাবে পালন না করা এবং সম্পদ বুঝিয়ে না দেয়ার কারণে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করায় তাদের বরখাস্ত করা হলো। তবে এ সময় তাদের কাস্টমস হাউসে অবস্থান করতে হবে বলেও জানানো হয়।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম সাহেদ, মো. শহীদুল ইসলাম, আকরাম শেখ ও মাসুম রানা।

এর আগে কাস্টমস হাউজের গুদাম বা ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েবের মামলার ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

তখন গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আকরাম হোসেন বলেন, চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ উধাও হয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উধাও হওয়া স্বর্ণের দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পরে এ ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত। এরপরই পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে কাস্টসের ২ কর্মকর্তাসহ মোট আট জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

স্বর্ণ খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তের জন্য কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ।

এর আগেও একাধিকবার কাস্টমসের গুদাম থেকে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন, মেমোরি কার্ডসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়। জানা গেছে, সাধারণত যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিস কাস্টমসের গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত স্বর্ণের হিসাব মেলাতে গিয়েই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, উধাও হওয়া স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ৫৫ কেজি স্বর্ণ কাস্টমসের গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু আলমারি ভেঙে সেই বাক্সটিই চুরি হয়ে গেছে। গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই কাস্টমসের কেউই এটা করেছে।