রাশিয়ার এলএনজি রফতানি বেড়েই চলেছে

Posted on September 11, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি বছরের শ‍ুরু থেকেই রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি অব্যাহত বাড়ছে। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোয় রুশ এলএনজির ব্যাপক চাহিদা রফতানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী নিকোলাই সালগিনভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস রফতানির পরিবর্তে এলএনজি রফতানি অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।’

এলএনজি রফতানিতে এরই মধ্যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে জানান সালগিনভ। তিনি বলেন, ‘আমরা রফতানির মাত্র কয়েক শতাংশ নিয়ে কথা বলছি। তবে বিশ্বজুড়েই রুশ এলএনজির ক্রেতা রয়েছে। আমাদের নতুন অংশীদার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধু নয়, বরং ইউরোপের ব্যবহারকারীদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রুশ এলএনজির।’

রাশিয়ার পরিসংখ্যান সংস্থা রোস্ট্যাটের তথ্যমতে, ২০২২ সালে রাশিয়ায় এলএনজি উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৮.১ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টনে। বর্তমান উৎপাদন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান সালগিনভ। উৎপাদন বাড়াতে নতুন গ্যাস লিকুইফ্যাকশন লাইন প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন ১০ কোটি টনে উন্নীত করতে আমরা একটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী। এটির অধীনে প্রথম উৎপাদন লাইন স্থাপনের কারণে চলছে। আগামী বছরের মধ্যে লাইনটি ৬৮ লাখ টন পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছবে। আমরা মারমানস্কে একটি নতুন এলএনজি প্লান্ট স্থাপনের বিষয়ওে আলাপ আলোচনা করছি। এতে তিনটি লিকুইফ্যাকশন লাইন থাকবে, যেগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা হবে ৬৮ লাখ টন।’

কেপলারের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রুশ এলএনজির সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল চীন। এর পরই ছিল স্পেন ও বেলজিয়াম। ইউরোপে রুশ এলএনজি আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

আগস্টে সমুদ্রপথে রাশিয়ার জ্বালানি তেল রফতানি কমে ১১ মাসের সর্বনিম্নে। এ সময় পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় রফতানিতে ধস নামে। অন্যদিকে উত্তোলন কমানোর প্রতিশ্রুতি ও কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও রফতানি কমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

আগস্টে রাশিয়া প্রতিদিন গড়ে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বনিম্ন রফতানি।