মমতাজের বিরুদ্ধে ভারতে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

Posted on September 7, 2023

বিনোদন ডেস্ক : দেশের লোকগানের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ভারতের বহরমপুরের একটি আদালত। সেখানকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় গায়িকার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মামলায় সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগেও তিনবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়।

এদিকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে মমতাজকে। গত ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল তার। ৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আদালত থেকে জানানো হয়—ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলায় চার্জ গঠন করা হবে। মমতাজ যদি ওইদিন উপস্থিত না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

এরপরই গায়িকা বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করে জানান, ওই সময় কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। এ কারণে আদালতে তার পক্ষে হাজিরা দেয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজের আবেদনটি খারিজ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয় মমতাজের। চুক্তি অনুযায়ী শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নেবেন তিনি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল গায়িকা মমতাজের।

আরও বলা হয়েছে, এ গায়িকা অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। তারপরই চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন শক্তিশঙ্কর। সেই প্রেক্ষিত্রে পরবর্তীতে সমন জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ৯ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন গায়িকা মমতাজের বিরুদ্ধে। এরপর ১৬ আগস্ট আদালতের এ রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছিলেন—মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে হয়রানি করার জন্যই দায়ের করা হয়েছে মামলাটি।

এ বিষয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলাকারী শক্তিশঙ্কর বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই মামলা চলছে। আমি এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এই মামলার জন্য আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। আমার সেই দিনের ১৪ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার দেওয়া অগ্রিম টাকা সুদসহ, মামলার সব খরচ এবং আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।

অন্যদিকে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, মমতাজের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। তবে আমার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যা কথা হয়েছে তাতে আমি এতটুকু বলতে পারি, আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। আশা করছি আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেবেন মমতাজ।

আরও পড়ুন:

চার দশক পরেও জাতীয় পুরস্কার না পেয়ে ক্ষুব্ধ কুমার শানু

‘পাঠান’-এর রেকর্ড ভাঙল ‘জওয়ান’!

অ্যাপ ডাউনলোড করে লাখ টাকা খোয়ালেন শ্রীলেখা