ভারতের কফি রফতানি বেড়েছে ৫.৮৫ শতাংশ

Posted on September 5, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : ভারতের কফি রফতানি আয় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫.৮৫ শতাংশ বেড়ে ৫২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তি থাকায় আয় বেড়েছে। খবর দ্য হিন্দু।

তবে মোটের ওপর এ সময়ে কফি রফতানির পরিমাণ ৫.৭১ শতাংশ কমেছে। আগের বছরে রফতানি হয়েছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার টন। এবার রফতানি হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টন। রুপির হিসাবে রফতানি ১১.৬২ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ২৮২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে, এক বছর আগে ছিল ৩ হাজার ৮৩৬ কোটি।

কফি বোর্ডের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ভারতীয় রফতানিকারকরা প্রতি টন কফির দাম ২ লাখ ৫৮ হাজার রুপি নির্ধারণ করেছে। গত বছরের এপ্রিল-অগাস্টে টনপ্রতি দাম ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার রুপি। ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম আট মাসে কফি রফতানি হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার টন।

চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে মূল্যমানের দিক থেকে রফতানি ৪.২৫ শতাংশ বেড়ে ৮৩ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে ছিল ৭৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। রুপির হিসাবে রফতানিতে বেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। আট মাসে তা হয়েছে ৬ হাজার ৮৪৩ কোটি, এক বছর আগে যা ছিল ৬ হাজার ১৩৬ কোটি রুপি।

দেশে উৎপাদিত কফির দুই-তৃতীয়াংশ রফতানি করে ভারত। জানুয়ারি থেকে আগস্ট মৌসুমে ভারতে উৎপাদিত কফি রফতানি সামান্য কমে ২ লাখ ৬ হাজার টনে দাঁড়ায়। এর বেশির ভাগই রোবাস্তা কফি। তবে আরো বেশি ভ্যালু অ্যাড করে রফতানি করার জন্য ভারতের আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ২৫৭ টনে। ভারত মূলত ভিয়েতনামের মতো দেশ থেকে রোবাস্তা জাতের কফি আমদানি করে তারপর সেগুলোয় ভ্যালু অ্যাড করে আবার রফতানি করে।

অ্যারাবিকা পার্চমেন্ট জাতের চালান জানুয়ারি-আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৪৫৮ টনে। এ সময়ে অ্যারাবিকা চেরির বাজার ৬ হাজার ৩২৩ টনে অপরিবর্তিত ছিল। রোবাস্তা পার্চমেন্টের রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪৯২ টনে। রোবাস্তা চেরির রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার টনে। ভারতের কফির সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইতালি। তারা কফি কিনেছে ৪১ হাজার ১৮০ টন। ২৭ হাজার ৩৮০ টন কফি নিয়ে তার পরের অবস্থানে আছে জার্মানি আর তার পরে আছে রাশিয়ান ফেডারেশন, যারা নিয়েছে ২০ হাজার ৫৫৩ টন কফি।