৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশ

Posted on September 4, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক/পরিচালকরা পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

যারা এখনো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি, তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে (বিএসইসি)-এর কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে জারি করা এক নির্দেশনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও বলেছে, ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিগুলিতে কমপক্ষে দুইজন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।

বিএসইসি কর্মকর্তারা বলেন, যখন কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারণ কমে যায়, তখন তারা ওই কোম্পানির ব্যবসায় মনোযোগ দেন না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। যেসব কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়েছে, সেসব কোম্পানিগুলোকে আবারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর যেসব কোম্পানি নিয়ম মানতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে বিএসইসি।

এর আগে জুলাই ২০২০ সালে ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি।

বিএসইসি বলছে, ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত ২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি।

তবে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন করেছে।

বিএসইসির সূত্র অনুযায়ি, ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের শেয়ার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে এবং ১০ শতাংশের নিচে শেয়ার রয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ার।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ৫টি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে, যা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। আর ৪টি কোম্পানি এক বছর ধরে তাদের শেয়ার ধারণ রিপোর্ট কমিশনে জমা দেয়নি। কোম্পানিগুলো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ অনুসারে, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সব সময় কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। অথচ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা ২০১১ সালের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা স্বপদে বহাল রয়েছেন।

পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা বলছেন, ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার যদি উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের হাতে থাকে, তবে শেয়ারবাজারে চলমান তারল্য সংকট অনেকটা কমে যাবে।