চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু 

Posted on September 1, 2023

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার চন্দবাস গ্রামে সাপের কামড়ে জুলফিকার আলী ভুট্ট (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার (০১ সেপ্টম্বর) ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জুলফিকারের পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সরকারিভাবে অ্যান্টিভেনম (বিষ প্রতিষেধক বিষক্রিয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা।) সাপ্লাই না থাকায় সময়মতো শরীরে দেয়া সম্ভব হয়নি। 

জুলফিকারের ভাই ফারুক হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানের ক্ষেতে বিষ দেওয়া সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। বিষয়টি বাড়িতে এসে পরিবারকে জানালে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই না থাকায় আমার ভাইয়ের অবস্থা প্রতি মিনিটে খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো। চিকিৎসক দুই ধাপে রোগীর শরীরে ২০টি ইনজেকশন দিতে বলেন। প্রথমে একটি ফার্মেসিতে ১০টি ইনজেকশন পাওয়া গেলেও বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোজাখুজি করে এক ফার্মেসি মালিকের বাড়িতে গিয়ে বাকি ১০টি ইনজেকশন কিনে আনি। আমরা গরীব মানুষ। অনেক কষ্টে ২৮ হাজার টাকা মেনেজ করে ২০টি অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন কিনেও ভাইকে বাচাতে পারলাম না। আমাদের মতো বিপদে যেন আরও কেউ না পড়ে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুজ্জামান আফরোজ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার পরে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাপের কামড়ের শিকার জুলফিকারকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আনেন। দুই ধাপে তার শরীরে ২০টি অ্যান্টিভেমন ইনজেকশন পুশ করা হয়। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

সরকারিভাবে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সাপ্লাই না থাকার বিষয়ে জানতে চেয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই নেই। চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।