কর্ণফুলীতে এসিল্যাণ্ডের অভিযানে সরকারি ৬ খাস পুকুর উদ্ধার

Posted on August 29, 2023

জে. জাহেদ, স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ৪০ কোটি টাকা মূল্যের ৮ একরেরর সরকারি খাস ৬টি খাস পুকুর অবৈধ দখলদার হতে উদ্ধার করেছেন। পরে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় ওই জমিতে ১০টি সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

গত কয়েক দিনের টানা অভিযানে উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদার হতে উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে ৬টি পুকুর ছিলো। ওই জমির মালিকানা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক। এসব পুকুর উদ্ধার করে সরকারিভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এসব জমিতে মাছ, গাছপালাসহ অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি হেফাজত করার দায়িত্ব কিন্তু সকল সচেতন নাগরিকেরও।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ সরকারী খাস জমিতে প্রবেশ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে না। উদ্ধার হওয়া জমি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত। যা সরকারি খাস জমি হিসেবে বিবেচিত। যে ৬টি পুকুর উদ্ধার করা হয়েছে তাতে ‘কর্ণফুলী উপজেলা সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার হবে। এমনকি পুকুর, পুকুর পাড়ের আঙ্গিনা পার্কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। যা এলাকার সকল মানুষের চিত্ত বিনোদন, হাঁটাহাঁটি ও সুস্থ্যতার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই ৮ একর জমির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা হবে।’

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, গত ১৭ মার্চ একই এলাকা থেকে এর আগেও প্রায় পাঁচ একর খাস জমি উদ্ধার করে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে উদ্ধারকৃত ৮ একর খাস জমিসহ সব মিলিয়ে এই এলাকায় থেকে এ যাবত উদ্ধারকৃত খাস জমির পরিমাণ প্রায় ১৩ একর।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এসব জমি জুলধা ইউনিয়নের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের দখলে রেখেছিলেন। কিন্তু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যখন অভিযান চালান তখন ১ নং খতিয়ানভুক্ত খাস জমিতে থাকা অবৈধ দখলদাররা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ফলে, কোন মামলা বা জরিমানা করতে হয়নি। কেননা, কোন দখলদারের কাছে ওই জমি সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র ছিল না।

এর আগেও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সাড়ে ৪ একরের খাস জমি দখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। উদ্ধারকৃত জমিতে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এরপুর্বে বড় উঠান এলাকায় ২০ বছর পর দখলে থাকা ২৫ শতক সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করেন। ও জমির বাজারমূল্য ছিলো প্রায় দেড় কোটি টাকা।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ