আয় ও মুনাফা দুটোই বেড়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের

Posted on August 28, 2023

শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ২০২২-২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ও নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে। এবং আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ।

সোমবার (২৮ আগস্ট ২০২৩) ভার্চুয়্যাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ২১৪ তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।

কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে ।

প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসিসিএলের আয় হয়েছে ৫১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে এ আয় হয়েছিল ৪৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসসিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের যা ছিল ১৩ টাকা ৬৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৫ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৪ টাকা ৪৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।

২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়াহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১২ অক্টোবর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে জন্য ঘোষিত ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সে (বিও) পাঠিয়েছে বিএসসিসিএল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০৫ কোটি ২ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫২ টাকা ৪৯ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসসিসিএল। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিএসসিসিএলের শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। আগের হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কোম্পানির কর পরবর্তি নিট মুনাফা হয়েছে ২৭৯ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮ টাকা । যা গত বছরের একই সময়ে কর পরবর্তি নিট মুনাফা হয়েছিলো ২৪৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৬৫ টাকা ।

কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০ টি । এর মধ্যে সরকারী বিনিয়োগ ৭৩.৮৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫.৫৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ২.৭৫ শতাংশ এবং বাকি ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে ।

ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২১৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ২৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৪৫ টাকা ১০৯ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

কোম্পানিটি ২০১২ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে মার্কেটের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে ।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ