২০৩৪ পর্যন্ত কানাডায় পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা

Posted on August 28, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা আরও ১০ বছর পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সুবিধা ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়ার কথা থাকলেও এখন ২০৩৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কানাডার বাজারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে আসছে। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। সেই হিসেবে এই সুবিধা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু এখন কানাডা সরকার আরও ১০ বছর বৃদ্ধি করে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিচ্ছে।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, কানাডা সরকার তাদের বাজারে বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত পোশাক পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়েছে। তার জন্য নতুন করে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ দিয়েছে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। এ জন্য কানাডা সরকারকে স্বাগত জানাই। গত জুনে বিলটি পাস হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কানাডা সরকারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং আরও টেকসই কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখবে।

কানাডা সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম বৃহৎ বাজার কানাডা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ১.৫৫ বিলিয়ন ডলারের, যেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ১.৩৩ বিলিয়ন ডলারের। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৬.৫৫ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ থেকে কানাডার আমদানির হিস্যা মাত্র ১৩.৯৫ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে কানাডার বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের আরো অনেক বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে বাংলাদেশ।