কৃষি ও কৃষক রক্ষার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদের মানববন্ধন

Posted on December 25, 2022

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: ২৪ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমানো, সকল ইউনিয়নে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র খুলে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা, সেনাবাহিনীর হারে নিয়ন্ত্রিত মূল্যে (রেশনিং) খাদ্যসামগ্রী বিক্রি চালু করা। কৃষিতে ভর্তুকি বাড়োনো এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ কুলাউড়া উপজেলা শাখার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষক সমিতি মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও পৃথিমপাশা ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাসদ কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি মইনুল ইসলাম শামীমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক জওহরলাল দত্ত, বাংলাদেশ জাসদ জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রাজা, বাংলাদেশ কৃষক জোট জেলা সংগঠক আলমগীর হোসেন তরফদার, কাদিপুর ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ ফাহিম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। বাজারে সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশক সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়ে আকাশচুম্বী। বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি খরচ কিন্তু কৃষক ফসলের প্রকৃত দাম পাচ্ছে না। বিএডিসি এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে লুটেরা বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে সার, বীজ, কীটনাশক সহ সকল উপকরণ। মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃষি উপকরণ বিক্রি করছে। আবার ভেজাল বীজ, সার, কীটনাশকে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে কিন্তু কৃষক কৃষিকাজের জন্য ঋণ নিতে গেলে কৃষক ঋণ পাচ্ছে না। বাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ সকল নিত্যপণ্য। কিন্তু কৃষক ও মেহনতী মানুষ তার যথাযথ হিস্যা পাচ্ছে না।

প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে সামরিক, প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়। আর উৎপাদনমুখী কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান খাতে বছরে বছরে ব্যয় বরাদ্দ কমছে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং পাঁচ থেকে পনেরো হাজার টাকা ঋণের জন্য কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হচ্ছে। দেশে কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিকদের জন্য নেই রেশনিং ব্যবস্থা। বার্ষিক জাতীয় বাজেটে সিংহভাগ যোগান দেয় কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষ অথচ তাদের জীবন-জীবিকার সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না। কৃষক শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়ার দাবি জানাই।