মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আড়ালে অর্থ পাচার, কোটি কোটি টাকার মালিক কাদেরী 

Posted on August 19, 2023

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার আড়ালে অর্থ পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন খন্দকার আশরাফ হোসেন কাদেরী। অবৈধ এই ব্যবসার জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল সিন্ডিকেট। পুলিশ বলছে, কাদেরী হুন্ডির মাধ্যমে অন্তত ৪৫ কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন।

অর্থ পাচারের অভিযোগে আশরাফ হোসেন কাদেরী ও তার সহযোগী সুশান্ত নাথের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৩ মে পুলিশের সিআইডির ইন্সপেক্টর কে এ রাকিবুল হুদা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় কাদেরীর বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। পরে চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধজ্ঞা দেন। গত ১৫ জুলাই ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত কাদেরী ও সুশান্তকে কারাগারে পাঠান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এসআই মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, কাদেরী ও তার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার সুশান্ত নাথকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত কাদেরী আদালতে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই ট্রেড লাইসেন্স নিলেও ২০১৯ সালে হুন্ডি ব্যবসা শুরু করেন কাদেরী। ‘আল কাদের অ্যান্ড কোম্পানি’র মাধ্যমে তিনি হুন্ডি করে অন্তত ৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে কাদেরী চক্রের সদস্য জামাল হোসেনের কর্মচারী শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আতিকুর রহমানের কর্মচারী বাবুল আহমেদের ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, আব্দুল্লাহ আল নোমানের কর্মচারী ফারুকের ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা, মানিক মিয়ার ৬২ লাখ টাকা, রাসেদুল হক রাসেলের কর্মচারী ওমর কাইয়ুমের ৩৫ লাখ টাকা, সজীবের কর্মচারী ওমর কাইয়ুমের ৫৮ লাখ টাকা, শিমুল উদ্দিনের দেড় কোটি টাকা, শিকদার বনি আমীনের এক কোটি ৬ লাখ টাকা, মেরাজুল ইসলামের ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সাসুদ মীরের কর্মচারী উজ্জল মিয়ার ২৬ লাখ টাকা, আশরাফুল আলমের কর্মচারী সাজ্জাত হোসেনের ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা, আলাউদ্দিন আবিদের ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রাহাত কবিরের কর্মচারী সুবর্ণ আহমেদের ২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।

এজাহারে আরও বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল নোমান স্টিল শিট আমদানির নামে, শিমুল উদ্দিন চীন থেকে অবৈধভাবে মেমোরি কার্ড আনতে, আতিকুর রহমান মোবাইল ফোন আনতে, সুশান্ত নাথ লাগেজ আনতে, রাসেদুল হক রাসেল আইফোন আনতে, সজীব লাগেজ পার্টির পণ্য আনতে, আবু খায়ের নয়ন হার্ডওয়্যার ও টুলস আমদানির আড়ালে, সৌদি প্রবাসী হারুন বিদেশে ব্যবসার কথা বলে কাদেরীর কোম্পানির মাধ্যমে হুন্ডি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেন।

সূত্র: সমকাল