সাঈদীর মৃত্যু: বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসককে হত্যার হুমকি

Posted on August 16, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ছিলেন ডা. মোস্তফা জামান।

হত্যার হুমকির বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে তিনি ধানমন্ডি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ডা. এস এম মোস্তফা জামান থানায় জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি ফেসবুক গ্রুপ ও ম্যাসেঞ্জারে হুমকির বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জিডিতে ডা. এস এম মোস্তফা জামান উল্লেখ করেন, গত ১৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সাঈদী মারা যান। আমি বিশেষজ্ঞ টিমের একজন সদস্য ছিলেন।

তিনি জিডিতে আরও লিখেছেন, কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমার ম্যাসেঞ্জারে ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

এর আগে, রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কারাগারে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে সাঈদী ফাউন্ডেশনস্থ কবরস্থানে বড় ছেলে রফিক বীন সাঈদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেফতার হন। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, লুটপাট, ধর্মান্তরিত করানোসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তিনি আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। সেই থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।