বসতঘর থেকে ২২ টি গোখরা সাপ উদ্ধার

Posted on August 9, 2023

অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুরের মধুখালি পৌরসভার একটি বাড়ি থেকে প্রায় ২২টি গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বুধবার দুপুরের দিকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাড়াখোলা মহল্লার মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে এসব সাপ উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়। 

বর্ষা শুরুর পর থেকে মধুখালী উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।  

কয়েকদিনে উপজেলার মিটাইন, কামারখালী ও বাগাট এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে শতাধিক বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভাতেও মাটি খুঁড়ে গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

হাসান বিশ্বাসের স্ত্রী রুবিয়া বেগম বলেন, গতকাল তিনি বিছানায় বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই একটি বড় গোখরা সাপ আলমিরার উপর থেকে নিচে পড়ে। এটা দেখে ভয়ে তিনি চিৎকার করেন। তখন তার ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসে। কিন্তু ততক্ষণে সাপ চলে যায়।

রাতে সাপের ভয়ে পরিবারের লোকজন আর ওই ঘরে ঘুমায়নি। সকালে পাশের এলাকা থেকে এক সাপুড়েকে ডেকে নিয়ে আনা হয়।

রুবিয়া বলেন, “সাপুড়ে এসে ঘরের ভিটে ও মেঝে খুঁড়ে সাতটি জীবিত সাপ উদ্ধার করে। এগুলো বাচ্চা কী; এত বড় হয়ে গেছে। কয়েকটা বাড়ির লোকজনও পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে বড় সাপটিকে আর পাওয়া যায়নি।”

সাপ ও সাপুড়ে আসার খবরে এলাকার লোকজন গিয়ে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে আসেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আনিসুর রহমান লিটন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে সাত থেকে আটটা জীবিত বাচ্চা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৩-১৪টা সাপ লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। সাপুড়ে সবগুলো সাপ নিয়ে গেছে। এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবাইকে রাতের বেলায় সাবধানে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”

প্রাণীবিদদের মতে, সাপের প্রজনন কাল এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। একটি সাপ ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম পাড়তে পারে। ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফোটায়।

সাপ নিজে গর্ত খুঁড়তে পারে না। তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ইঁদুরের গর্তে যায়। সেখানে তারা ডিম দেয় এবং বাচ্চা ফোটায়।

এএইচ