চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকার সড়ক নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এইচবিবি সড়ক নির্মানের এক মাসের মধ্যেই ধস দেখা দিয়েছে। এক নাম্বারের জায়গায় তিন নাম্বার ইট ব্যবহারসহ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কারনেই এমন দুরাবস্থা দাবি স্থানীয়দের।
এনিয়ে প্রতিকার চেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের "বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে হতে বেড়িবাঁধ অভিমুখি রাস্তা এইচবিবি করণ" প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, ১নং ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৩নং ইট। ফলে নির্মাণের মাসখানেক পরেই সামান্য বৃষ্টির পানিতেই রাস্তার দুই পাড়ে দেখা দিয়েছে ধস। এতে স্থানীয়রা নতুন তৈরী রাস্তাটি হতে সুবিধা না পেয়ে বরং বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, আশেপাশের সব রাস্তা পাঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু বাবুপুর চালকিপাড়া তাজিমুল হাজির বাড়ির সামনে হতে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা ছিল। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যেত সড়কটি। দুর্ভোগের মধ্যে ছিল এখানকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। আশার আলো হয়ে রাস্তাটির বরাদ্দ হয়। কিন্তু নিম্নমানের কাজের ফলে একমাসের মধ্যেই নানারকন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পঞ্চাশোর্ধ আল আমিন জানান, নিম্নমানের ইট ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে রাস্তায়। যার ফলে নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা ভাঙা শুরু হয়েছে। অনেক জায়গা নিচে ধসে গেছে। সরকারি যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করা হয়নি।
স্কুলশিক্ষক ফয়সাল আজম বলেন, ৩নং ইট ব্যবহার করে অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও দূর্নীতি করেছেন পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনলে আগামীতে জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের এমন নয়-ছয় করার সাহস পাবে না অন্যরা।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা. আব্দুল মালেক জানান, কোন অনিয়ম হয়নি। নিয়ম মেনেই সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হয়েছে ঠিকাদারের মাধ্যমে। আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে যথাযথভাবে তদারকি করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
তিন নাম্বার ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ, এক মাস পরেই ধস https://corporatesangbad.com/40860/ |