পাহাড়ধ্বস মোকাবেলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন

Posted on August 7, 2023

অনলাইন ডেস্ক: পাহাড়ধসের ক্ষতি মোকাবিলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এরিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসরত লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার । দিনের অধিকাংশ সময় জেলাপ্রশাসনের টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে লোকজনদের সচেতন করছেন। এ ছাড়াও এসব এলাকায় গিয়ে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন প্রশাসন।

সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার ছুটে যাচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। খোঁজ নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনদের। প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের টিম ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এ ছাড়াও কাপ্তাই নৌযান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।

রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. দিদারুল আলম জানান, ২০১৭ সালের কথা চিন্তা করে রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেকোনো দুর্যোগ হলেই উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হবে।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন জানান, জেলা প্রশাসনের তিনটি টিম, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও ঝুঁকি নিয়ে অনেক লোকজন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। তবে শহর ও উপজেলায় মোট ১৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, প্রতিটি উপজেলায় রেসকিউ টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সকল সদস্যকে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের সঙ্গে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, একটি লোকও যাতে হতাহতের শিকার না হয় ও একটি পরিবারও যাতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে না পড়ে। সেজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

তিনি আরও জানান, সকল উপজেলাগুলোকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের জন্য খাবারসহ সব ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এএইচ