হজ প্যাকেজের কমানো টাকা ফেরত নেওয়ার আহ্বান

Posted on August 6, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : চলতি বছরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করা যেসব ব্যক্তি খাবার ও হজ প্যাকেজের কমানো টাকা এখনও ফেরত নেননি, তাদের দ্রুত সেই টাকা ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করা যেসব হাজি এখনও খাবার বাবদ ৩৫ হাজার এবং প্যাকেজ হ্রাসকৃত ১১ হাজার ৭২৫ টাকাসহ সর্বমোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাননি, তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) বরাবর আবেদন করতে অনুরোধ করা হলো। আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেকের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

নির্ধারিত চকে হাজির নাম, পিআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, হিসাবের শিরোনাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের নাম ও শাখা এবং রাউটিং নম্বর দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ প্যাকেজ করার সময় খাবারের খরচ বাবদ একটা অংশ ধরা হয়। পরবর্তীতে খাবার বাবদ যে টাকা খরচ হয় তা ওই টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে সাশ্রয় হওয়া টাকা হাজিদের ফেরত দেওয়া হয়। প্রতি বছর এ টাকা ফেরত পেয়ে থাকেন হাজিরা।

অন্যদিকে গত ২২ মার্চ সৌদি সরকার ২০২৩ সালের হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার তাঁবুর খরচ চারটি (এ, বি, সি, ডি) ক্যাটাগরির সেবার মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য ৪১৩ রিয়াল কমায়। ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ (২৮.৩৯ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়।

ওই সময় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারিভাবে নিবন্ধন করা হাজিদের টাকা ঢাকা অফিস থেকে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে একজন হজযাত্রী খাবারের মূল্য ২৫ হাজারের সঙ্গে সৌদি সরকারের কমানো টাকা ১১ হাজার ৭২৫ সহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।

এর আগে, গত ২৭ জুন চলতি বছরের হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালন করেন। এবার হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমায় সরকার। এর ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে এবার প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।