বর্ষায় বিপর্যস্ত হিমাচল: ১৯৯ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৩১

Posted on August 5, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৪১ দিনে বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯৯ জন মারা গেছেন। এসময় ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ১৯৯ জনের মধ্যে ৫৭ জন ভূমিধস ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এবং ১৪২ জন বর্ষাকালে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত বর্ষায় বিভিন্ন কারণে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে ১৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশে ৩১ জন নিখোঁজ এবং ২২৯ জন আহত হয়েছে।’

রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য সচিব অনিল খাচি বলেন, ‘রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রতিদিনই প্রাণহানি বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে।’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে অবকাঠামোর আনুমানিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫৬৩ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা।

বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় রাজ্যে ৭৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সাত হাজার ৩১৭টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২৫৪টি দোকান ও দুই হাজার ৩৩৭টি গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় রাজ্যে ৭৯টি ভূমিধস এবং ৫৩টি আকস্মিক বন্যা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৩০০টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ২৭৪টি বিদ্যুৎ ও ৪২টি পানি সরবরাহ প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে।

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুই দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

অন্যদিকে, সোলান জেলার কালকা-সিমলা চার লেন জাতীয় মহাসড়ক-৫ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিমলার পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয় রাজ্যের রাজধানীতে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মহিন্দর শেঠ বুধবার (২ আগস্ট) বলেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যা শেষে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পর্যটকদের ভ্রমণ শুরুর আশা ছিল। তবে, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ভয়ে পর্যটকরাও ভ্রমণ বন্ধ রেখেছেন। সূত্র-ইউএনবি।