নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলোকে সরকারী বিজ্ঞাপন দিতে হবে

Posted on February 13, 2022

২০০৯ এর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সাহস কেউ দেখায় নি বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষনা করেছিলো ক্ষমতায় আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেকথা রেখেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে। আমরা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ডিজিটালাইজড বেশী হতে পেরেছি। দিনে দিনে অনলাইন সেবা পৌছে যাচ্ছে দেশের সবখানে সবার কাছে।

প্রসঙ্গত: ডিজিটাল সুবিধায় আমরা নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যেই সব খবর সবার কাছে পৌছে দিচ্ছি, কিন্তু আামদের এই সেক্টরটা নিয়ে কেউ ভাবছে না। একদিকে কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারনে ইচ্ছেমত অনলাইন নিউজ পোর্টাল গজিয়ে উঠেছে। তেমনি অসাড় ও অসত্য সংবাদ পরিবেশনে বিব্রত ও অসস্থিকর পরিস্থিতি দানা বেধে রয়েছে। যে কোন সময় একটি অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তেই পারে যদি এখনও সঠিক মনিটরিং না করা হয়।

কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এ কোন পরিবর্তন ছাড়াই বিএসইসি তাদের নিজস্ব এখতিয়ারেই সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির পিএসআই, আর্থিক প্রতিবেদন ও নোটিশ প্রিট পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশনায় এ কথাটি আসলে হয়তো ভালো হতো যে তথ্য মন্ত্রনালয়ের নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল। একদিকে স্বল্প সংখ্যক নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল অন্যদিকে নিবন্ধনহীন নিউজ পোর্টাল অসংখ্য এসব পোর্টালগুলো দেদারছে তাদের সাইটগুলো চালিয়ে আসছে। তাদের কোনো জবাবদিহি না থাকায় তাদের কোনো খরচ নেই থাকলেও কম। আর নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিয়মের কঠোরতার পরেও আবার প্রতিযোগিতা করতে হয় অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো কমরেটে বিজ্ঞাপন নেয়ার কারণে নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো আশানুরুপ বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। ব্যাংক আইন বা অন্য কোন আইন পরিবর্তন না করেও অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। তাহলেই কেবল নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো টিকে থাকতে পারবে।

হাইকোর্ট/সুপ্রিমকোর্টের যেসব আদেশ প্রিন্ট পত্রিকায় যায় সেগুলো নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে সরকারি বিজ্ঞাপনের আওতায় নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আরো একধাপ এগিয়ে আসা যায়। হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ হয়নি, সামাজিক অবক্ষয় রোধে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী। নচেৎ নিবন্ধন নীতিমালা যে কারনে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য থমকে যাবে।

সঠিক দিক নির্দেশনা ও নিয়মতান্ত্রিক সহযোগিতা ছাড়া অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে চালাতে হিম-শিম অবস্থায় মালিক সম্পাদকেরা। এ অবস্থা থেকে বাঁচাতে হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মেনে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে ডিজিটাল ইনকামের সুবিধা নিশ্চিত করা আবশ্যক। এক পর্যলোচনায় দেখা গেছে দেশ ও দেশের সবাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পেলেও নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কোন সুবিধা পাচ্ছেনা, অথচ একটি নিউজ পোর্টাল চালাতে অনেক খরচ বহন করতে হয়। প্রতিটি নিউজ অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাথে সাথে গেলেও প্রিট পত্রিকায় যায় ২৪ ঘন্টা পরে, অথচ পোর্টালগুলো কোন সরকারি বিজ্ঞাপন পায় না। অর্থঋণ আদালতসহ সকল নিম্ন আদালতের যে সকল আদেশ ও নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রিন্ট পত্রিকায় যায় সেগুলো নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালে দেওয়ার জন্য সরকারের সাহায্য ও হস্থক্ষেপ প্রয়োজন। টেন্ডার নোটিশসহ সকল সরকারি বিজ্ঞাপন নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে দেয়ার ব্যবস্থা করলে গনমাধ্যমে চলমান অস্থিতিশীলতা দুর হবে।

নিবন্ধন দেওয়ার সময় এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা জরুরি যে একটি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ভালো মন্দ সব কিছু সরকারকে দেখতে হবে। নইলে নিবন্ধন দেয়া আর না দেয় একই কথা।

বিস্তারিত জানতে ও দেখতে নিচের ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন-

https://www.facebook.com/100004913460098/videos/1586989081670482/