নিয়মিত চা পান করছে গরু, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল

Posted on August 1, 2023

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: পৃথিবীতে চা ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই বলা চলে। কারও কারও তো এক কাপ চায়ে চুমুক দেয়া ছাড়া সকালই হয় না। ছুটির দিনে ঘুম ভেঙেছে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ের সুঘ্রাণে। সকালের নাশতা সেরে আরও এক কাপ চা। বিকেল গড়াতেই মোড়ের চায়ের দোকানে না বসলে ঠিক যেন আড্ডাটা জমে না। বর্তমান মোবাইলের যুগেএ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।

এবার মানুষের মতো নিয়ম করে চা পান করছে গরু। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২নং আড়িয়া গ্রামের ঈদগা পাড়ার লাল্টু শেখ নামের এক চা দোকানির লাল রঙের গাভী গরু তিন মাস বয়স থেকে নিয়মিত সকালে-বিকালে চা পান করে আসছে। নিয়মিত দোকানে এসে চা পান করে থাকে গরুটি। চা দিতে দেরি হলে গরুটির অদ্ভুত আচরণে বুঝতে বাকি থাকেনা গরুটি চায়ে আসক্ত। আড়াই বছর যাবৎ গরুটি লালন-পালন করছেন লাল্টু শেখ। তার আরও গরু থাকলেও মাত্র তিন মাস বয়স থেকে নিয়মিত চা পান করে এই গরুটি। চায়ের পাশাপাশি পাউরুটি, কলা ও বিস্কুটও খায় গরুটি। ইতিমধ্যে গরুটি স্থানীয়দের নিকট চা খোর গরু হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। গরুটির চা পান করা দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন স্থানীয়রাসহ আশপাশের এলাকার লোকজন।

স্থানীয়রা জানান, লাল্টু শেখের অন্যান্য গরুগুলো মাঠ থেকে ফিরে বাড়ির মধ্যে চলে গেলেও ওই গরুটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে চা পান করার জন্য। আমরা দোকানে খেতে আসি গরুটিও আমাদের সাথে চা পান করে। গরুটির মালিক ও চায়ের দোকানদার লাল্টু শেখ গরুটির জন্য আলাদা চায়ের কাপ রেখেছেন। সেই কাপেই গরুটিকে তিনি চা পান করিয়ে থাকেন। আমরা এমন ঘটনা আজও কোথাও দেখিনি। গরুটির চা পান করার দৃশ্য দেখলে যে কেউই আশ্চর্য হবে। মানুষ দোকানে চা খাওয়ার জন্য যেভাবে অপেক্ষা করে গরুটিও ঠিক একই ভাবে দোকানের সামনে অপেক্ষা করে।

চায়ের দোকান ও গরুটির মালিক লাল্টু শেখ জানান, গরুটি আমার খুব প্রিয়। অল্প বয়সে মাঝে মধ্যে শখের বসে গরুটিকে চা খাওয়াতাম। এভাবে খাওয়াতে খাওয়াতে এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন গরুটি নিয়মিত আমার দোকানে চা পান করে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গরুটি আমি লালন-পালন করছি। সকাল পালের সাথে ঘাস খেতে মাঠে যায় কিন্তু বিকালে বাড়ি ফেরার সময় অন্যান্য গরুগুলো বাড়িতে গেলেও এটি সোজা চলে আসে আমার চায়ের দোকানে। চায়ের দোকানের চুলার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। যতক্ষণ আমি চা না দিই ততক্ষণ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে। চা দিতে দেরি হলে হাম্বা হাম্বা করে ডাকতে থাকে।