নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে। এর মধ্যে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয়ে ৭ শতাংশের কিছুটা বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ শতাংশের বেশি। কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে বাটা সুর আয় হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫২৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, শতকরা হিসাবে যা ৩১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়াপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩২ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ টাকা ৪১ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪৮ টাকা ২৩ পয়সায়।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আলোচ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৪১ পয়সা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বাটা সুর পর্ষদ। এরই মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়েছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ১৮ মে। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সু। সে হিসাবে ২০২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ৩৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। আলোচ্য হিসাব বছরে বাটা সুর ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৫ টাকা ১ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫২ টাকা ১৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৫২ টাকা ৩৩ পয়সা।
সর্বশেষ ঋণমান অনুসারে, কোম্পানিটির এনটিটি রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে দায় ও গত ৯ মে পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়াহেল্ডারদের ২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সু। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য ৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা। সে হিসাবে ২০২১ হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
বাটা সুর প্রথমার্ধে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ শতাংশ https://corporatesangbad.com/39710/ |