ইনডেক্স এগ্রোর ইজিএম আজ

Posted on July 20, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা টাকা ব্যবহারে এক বছর সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পর্ষদ। এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আজ বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ১৫ জুন।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ অনুমোদনের পর কোম্পানিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন চাইবে।

তথ্য অনুসারে, পোলট্রি খাতের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যাংকগুলোর এলসি (ঋণপত্র) খোলার অনাগ্রহের কারণে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। এজন্য আইপিও তহবিলে থাকা কোম্পানিটির বাকি অর্থ ব্যবহারে আরো এক বছর সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা নতুন একটি প্রকল্পের জন্য ভবন ও নির্মাণকাজ করবে। পাশাপাশি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় ও সরঞ্জাম স্থাপনে আইপিও ব্যয় তহবিলের অবশিষ্ট অর্থ ব্যবহার করা হবে। কোম্পানিটির আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০ কোটি টাকার মধ্যে তহবিলে এখনো ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৪৪ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি তাদের আইপিও ব্যয় তহবিলের অর্থ দিয়ে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা স্বল্পমেয়াদি ব্যাংকঋণ পরিশোধের অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। অবশ্য তহবিলে থাকা অর্থের মধ্যে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকা দিয়েই স্বল্পমেয়াদি ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে চেয়েছিল তারা। এ বিষেয় ইজিএম করে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এক্ষেত্রে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে।

আইপিওর টাকা থেকে ঋণ পরিশোধের কারণ ব্যাখা করে ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছিল, তারা ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর আইপিওর জন্য আবেদন করে। আর বিএসইসি থেকে অনুমোদন পায় ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর। পুরো প্রক্রিয়ায় তাদের ৪ বছরের মতো সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে কোম্পানিটি আইপিও প্রক্রিয়াকরণের এ সময়ের মধ্যে নিজস্ব অর্থ ও ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম স্থাপন সম্পন্ন করেছে। আর ভবন ও অন্যান্য নির্মাণকাজ আংশিকভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এজন্য তখন ওই খাতের অর্থ তারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তবে তাদের প্রস্তাবিত সমুদয় অর্থ এ খাতে ব্যয় করার সম্মতি না পাওয়ায় এখন তারা এ অর্থ ব্যয়ে বাড়তি সময়ের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।