নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক

Posted on July 19, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারিখাতের কোম্পানি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত সময়ের লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৪ শতাংশ বোনাস।

ব্যাংকে গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত এজিএমে ২০২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৫ মে। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা, এর আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৭৩ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৫ টাকা ১২ পয়সায়।

এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ও মোট সম্পদ (এনএভি) বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২ পয়সায়। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চে যা ছিল ৮০ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা। রোববার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১৬৪তম সভায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনুমোদিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের মার্চ শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্স শিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে যা ছিল ২৫ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের মার্চে ব্যাংকটির মোট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। গতবছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

এছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২২ সালের মার্চে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭৮ পয়সায়। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ৭৩ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩৪ পয়সা, গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ৩১ পয়সা।

এছাড়া চলতি বছরের মার্চ শেষে আমানতের পরিমান সাড়ে ১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিতরণকৃত ঋণের পরিমান ১১ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।