মেহেরপুরে রাতের আঁধারে সরকারি জমির মাটি কেটে বিক্রয় 

Posted on July 19, 2023

সেলিম রেজা, মেহেরপুর প্রতিনিধি : ১৯/০৭/২৩ মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়নে খোকসা গ্রামে রাতের আঁধারে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রয় করেছেন মনজুরুল ইসলাম এক ব্যক্তি। মাটি খেকো মঞ্জুরুল ইসলাম আমঝুপি গ্রামের কালুর ছেলে।

খোকসাা গ্রামের তাসিরুল ইসলামের বাড়ির পাশে মাঠে যাওয়া রাস্তার মাটি রাতের আধারে কেটে সাঁবাড় করে দিচ্ছেন। মাটি কিনছেন একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।

খোকশা গ্রামের সাদিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শুধু সরকারি জমির মাটিই নয়, গায়ের জোরে ওই জমির পাশে আমার জমির মাটিও কেটে অন্য জায়গায় বিক্রয় করেছেন মুঞ্জুরুল ইসলাম। এভাবে এলাকার অনেক মানুষের জমি কেটে বিক্রয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তিনি আরো বলেন, যেখান থেকে মাটি কেটেছে সেখানে একটি রাস্তা ছিল সে রাস্তা দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে যাতায়াত করতো কৃষকগণ।

কৃষকদের যাতায়াতের রাস্তাটির মাটি কাটার ফলে বর্তমান সে রাস্তাটি হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, মঞ্জুরুল ইসলামের মুল ব্যবসা অবৈধভাবে মাটি কাটা। ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলতে পারেনা। মুঞ্জুরুল ইসলাম গর্ব করে বলে বেড়ান ডিসি,এসপি থানা সবকিছু তার হাতের মধ্যে।

সরকারি জমির পাশের জমির মালিক সাদিকুল ইসলাম বলেন, মুঞ্জুরুল ইসলাম রাতের আঁধারে অবৈধভাবে সরকারের জমিতে মাটি কেটেছে। ওই জমির পাশে আমার জমি ছিল। সে আমার জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে দেন অন্য জায়গায় এই নিয়ে আমি একটি মামলা করব বলে জানায়। তিনি আরও বলেন, অল্প গভীর করলে সেখান দিয়ে যাওয়া যেতো। পাশেই আমার জমি। ওই জমির উপর দিয়ে আমার জমিতে যেতে হয়। গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় এখন আমার জমিতে যাওয়া পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যক্তি জানান, মুঞ্জুরুল সরকারি জমির মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে। এটা এলাকার সবাই জানে। সে আওয়ামীলীগ নেতা তাকে কিছু বলে মার খাবো। এ বিষয়ে ফেসবুকেও লাইভ হয়েছে। তবে, এই মাটি খেকোর বিচার হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে মুঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে। আমি আজগর আলীর জমির মাটি কেটেছি। ওই জমির পাশে খাস জমি আছে। ওখানে ইটের ভাটা থাকায় ইটের কুচি রয়েছে। সেই কুচি সরানো হয়েছে। সেখান থেকে কিছু মাটি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন আমি যুবলীগের আমুঝুপি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী, সেই সাথে মসজিদ কমিটিরও সেক্রেটারী। আমার হাত দিয়ে অন্যায় কিছু হবেনা। এছাড়া আমি মাটির ব্যবসা করি বলে মেহেরপুরের অনেক সাংবাদিকের সাথেই আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে আমার নিয়মিত কথা চলে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী নাজিব হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি। তারপরও এ বিষয়ে নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইননুনো ব্যবস্থা নেবো।

কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ