প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের আয় ৪.২৩ শতাংশ বেড়েছে

Posted on July 18, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় সমন্বিত আয় ও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে আয় ৪ শতাংশের বেশি বাড়ার পাশাপাশি নিট মুনাফায় ১৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কোম্পানিটির গতকাল অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের সমন্বিত আয় হয়েছে ৭ হাজার ৭৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ হাজার ৪২১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত আয় বেড়েছে ৩১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ৪.২৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ২৪৩ কোটি ২ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ টাকা ৮২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৩৪ পয়সায়।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের সমন্বিত আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৮২ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোণ। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সায়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ১২৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৪৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন। ওই বছর কোম্পানিটি এর বাইরে ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরে মোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।

সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, কোম্পানির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্ব সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২।