খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

Posted on July 9, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ থেকে খুলেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল থেকেই নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবে কোমলমতি শিশুরা।

সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ছুটির শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খোলার আগে ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করার ব্যাপারে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা রাখছি শনিবারের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস উপযোগী করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রস্তুত করবেন দায়িত্বশীলরা।

মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ডেঙ্গু ও বন্যার ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘স্টান্ডিং অর্ডার’ (সর্বদা পালনীয়) দেওয়া আছে। এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাতিল করা হয়েছিল।

এদিকে ডেঙ্গু রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশটি সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।

এই আদেশে মশার বংশবিস্তার রোধে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ফুলের টবগুলো পরিষ্কার করা ও যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো শিক্ষকদের প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জানাতে বলা হয়েছে ।

প্রশাসন শাখার উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সেগুলো হলো—

১. খেলার মাঠ ও ভবন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২. মাঠ বা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেসব ফুলের টব রাখা হয়েছে সেগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখতে হবে।

৪. এডিস মশার প্রজননস্থলে যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এবং

৫. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো প্রতিদিন শিক্ষার্থীদেরকে জানাতে হবে।