টাইটান ট্র্যাজেডি: মিলেছে যাত্রীদের দেহাবশেষ

Posted on July 3, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই সন্ধান মিলেছে সাবমেরিন ‘টাইটান’ এর ধ্বংসাবশেষ। সেই সঙ্গে মিলেছে সাবমেরিনটিতে থাকা ৫যাত্রীর দেহাবশেষও। আর এ উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন উদ্ধারকারী দলের নেতা এড ক্যাসানো।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ জুন) নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

গত ১৮ জুন সমুদ্রের গভীরে যাত্রা করে টাইটান। কিন্তু এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরেই মাদার ভেসেল বা নিয়ন্ত্রণকারী জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় ছোট্ট এ সাবমেরিনটির। এরপরই এড ক্যাসানোর উদ্ধারকারী দলের ডাক পড়ে।

ক্যাসানো বলেন, প্রথমে ভেবেছিলা, যাত্রীদের উদ্ধার করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি খুব কঠিন হয়ে পড়ে। শেষমেশ রোবটচালিত ‘ওডিসিয়াস ৬কে’ নামক যানের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে সমুদ্রের তলদেশে টাইটানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ ঘটনার গুরুতর দিকটি স্বীকার করে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। গত ১৮ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই নিখোঁজ হয় ওশানগেট কোম্পানির সাবমেরিন টাইটান। মূলত রওনা হওয়ার পরপরই এটা বিস্ফোরিত হয়।

চারদিনের অনুসন্ধানের পর ২২ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড। সাবমেরিনটিতে একজন পাইলট ও ওশানগেটের প্রধান নির্বাহীসহ ৫ আরোহী ছিলেন। বিস্ফোরণে সবার মৃত্যু হয়েছে।

কেন ও কীভাবে সাবমেরিন টাইটান ধ্বংস হয়, সে ব্যাপারে মার্কিন কোস্ট গার্ড আগেই বলেছে, সমুদ্রের তলদেশে পানির অস্বাভাবিক চাপ নিতে পারেনি ডুবোযানটি। এ কারণেই ভয়ঙ্কর অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই এটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

২৮ জুন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উপরে তুলে আনা হয়। সেদিন বিধ্বস্ত সাবমেরিনটির বেশিরভাগ অংশই পানির নিচ থেকে তুলে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে সমুদ্র উপকূলে আনা হয়। টাইটানের পেছনের অংশও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।

এদিকে, এরই মধ্যে ফের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছে টাইটানের মালিক প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। এছাড়া নতুন পাইলট নিয়োগেরও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তারা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। সূত্র: ডেইল মেইল, নিউইয়র্ক পোস্ট