নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে কোরবানির জন্য পশু কিনতে স্থায়ী-অস্থায়ী হাটে দৌড়াচ্ছেন ক্রেতারা।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে বিশেষ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে রাজধানীতে। এরপর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শনিবার ও রোববার হাটে এসে পছন্দের পশু ও দর দাম করে খোঁজখবর নিয়ে ফিরে গেছেন ক্রেতাদের অনেকে। কিন্তু কিনেছেন কম।
কিন্তু মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলেও ক্রেতারা গরু কেনেন। দুই দিন ধরে দেখে শুনে কম-বেশি লাভে হলেও গরু বিক্রি করেন ব্যাপারীরা। মঙ্গলবার সারাদিন হাটে ক্রেতাদের ঢল নামে। ক্রেতা-বিক্রেতার পশুর দর কষাকষি আর শোরগোলে উৎসব মুখর পরিবেশ কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। ভিড়ের চাপ বিকেল গড়িয়ে রাতেও ছিল। অনেকে পছন্দের গরু কিনে ফেলেছেন আগেভাগেই।
গত কয়েক দিন গরুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম দিকে গরু বিক্রি কম হলেও মঙ্গলবার বিক্রি ছিল বেশি। সোমবার বিক্রি শুরু হলেও, তুলনামূলক কম গরু বিক্রি হয়েছে। বাজারে গরুর তুলনাই অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার। কিন্ত বুধবার (২৮ জুন) ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে দেরিতে হলেও সকাল ৯টার পর একটু স্বস্তি দেখা দেয় হাটে। এরই ফাঁকে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার (২৭ জুন) সকালে রায়োরবাগ, শনির আখড়া, শাহজাহানপুর, মেরাদিয়া ও আফতাব নগরের হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, মৌসুমী পশুর হাটে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও প্রচুর গরু-ছাগল উঠেছে। তবে আগের মতই এবারও যথারীতি মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। কেউ কেউ আবার শেষ মুহূর্তে কেনার ঝুঁকি এড়াতে একটু বেশি দামে হলেও কিনে নিচ্ছেন পছন্দসই কোরবানির পশু।
হাটে কোরবানির পশু নিয়ে আসা ব্যাপারীদের দাবি, পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে তাই খরচ বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পশু লালন-পালনের ব্যয় মিটিয়ে এ বছর তাদের খুব একটা লাভ হবে না। কারণ পাইকারি দামে গ্রাম থেকে কিনে এনে যাতায়াত ও বাজারের জায়গা ভাড়া দিয়ে যে লাভ তাতে লোকসানের পাল্লা ভারী।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ৮টি গরু নিয়ে শনির আখড়ায় আসা শাহজাহান হাওলার বলেন, আমি গৃহস্থালি কাজ করি আর বাছুর কিনে লালন পালন করে ষাঁড় হলে কোরবানিতে বিক্রি করি। মঙ্গলবার আমার ৪ টি গরু বিক্রি করেছি আজ সকালে ১টি মোট ৫ টি বেচা শেষ। আর তিনটা আজ বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
শাহজাহানপুর পশুর হাটে বাসাবো থেকে গরু কিনতে এসেছেন মতিন মিয়া। তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণে গরু উঠেছে হাটে। তবে এবার দাম আগের তুলনায় একটু বাড়তি। তাই ক্রেতারা বাজেট অনুযায়ী, ভালো মানের গরু কিনতে পারছে না। যে গরুর দাম হওয়া উচিত ৮০ হাজার টাকা, বিক্রেতারা সেটার দাম হাঁকছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত কোরবানির ঈদের তুলনায় এবার পশুর দাম অনেক বেশি। একই সাইজের গরু গতবারের চেয়ে এবার ৩০, ৩৫, ৪০ এমনকি ৫০ হাজার টাকা বেশি দিয়েও কিনতে হচ্ছে।
এদিকে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আসা বেপারী জানান, আমি ১২টি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলাম এর মধ্যে দশটি বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি গরু প্রত্যাশার থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমে বিক্রি করেছেন। এখন আরও দুটি গরু রয়েছে, দুটির দাম আড়াই লাখ টাকা চাইলে ক্রেতারা অনেক কম বলেন। এবার লোকসান দিয়েই ব্যবসা করতে হলো।
মাস্টার এগ্রোর্ফাম এর একজন বলেন, আমরা ২৪টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি বৃহস্পতিবার এরপর মঙ্গলবার ৮ টি বিক্রি হয়েছে। এখনও ১৬টি গরু আছে। আশা করছি আজ সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট https://corporatesangbad.com/36029/ |