গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

Posted on June 22, 2023

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মোবাইল ফোনে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রপচার শেষে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত তানভীর হোসেন (২০) একই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়েছে সে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, আজ দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় চাচাতো ভাই তানভীর শিশুটিকে মোবাইল ফোনে গেম খেলার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় তানভীর। পরে শিশুটির রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ আকলিমা খাতুন বলেন, ধর্ষণের কারণে শিশুটির যৌনাঙ্গ মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে দ্রুত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেলাই দিয়ে তার রক্তবন্ধ করা হয়। তাকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিলো একটু দেরি হলে আর হয়তো বাচানো সম্ভব হতো না। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। চব্বিশ ঘন্টা পার না হলে কিছু বলা যাবে না।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, নাস্তিপুর গ্রামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ফুসলিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার চিকিৎসার যেন কোন ত্রুটি না হয় এবং চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে সব রকম সহায়তা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক তানভীর ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নেমেছে। সে বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলো বলে খবর পাওয়া গেছে। আমরা তার পাসপোর্ট নং সকল ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে সে কোন ভাবেই পালিয়ে না যেতে পারে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজখবর নেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা।