মেহেরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুহাট

Posted on June 21, 2023

সেলিম রেজা, মেহেরপুর প্রতিনিধি : ছোট, বড় আর মাঝারি ধরনের গরুর সমাহারের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে মেহেরপুরের সর্ববৃহৎ বামন্দী-নিশিপুর কোরবানি পশুর হাট। রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ পশুহাটে আসছেন গরুর বেপারীরা। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোরবানির পশু কিনছেন স্থানীয় ক্রেতারা। পর্যাপ্ত পশু আমদানি আর কাঙ্খিত ক্রেতার উপস্থিতিতে স্বস্তিতে রয়েছেন গরু পালনকারীরা। তবে বাইরে থেকে গরু আমদানি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বেপারী ও খামারিরা।

গত শুক্রবার থেকে কোরবানির হাট বসেছে মেহেরপুরে। সেদিন বামন্দী-নিশিপুর পশুহাটে গরুর সমাহার হলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ছিল না। তবে (১৯শে জুন) সোমবার থেকে পর্যাপ্ত পশুর সাথে সাথে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় জমেছিল। মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের মধ্যে যে কয়টি বড় পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাংনীর বামন্দী-নিশিপুর পশুর হাট। সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার এবং মঙ্গলবার এখানে পশুর হাট বসে।

প্রতি হাটের স্বাভাবিক বেচাকেনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। মেহেরপুর জেলা ছাড়াও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ সহ আশপাশের জেলা থেকে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ আসছে এ হাটটিতে। হাটের প্রবেশপথের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গরু বাহনের যানের ভিড়। হাটের মধ্যে বেপারীদের হাকডাক আর সাধারণ ক্রেতাদের গরু পছন্দের প্রতিযোগিতা। গরু ছাগলের আকার অনুযায়ী দরদাম করছেন ক্রেতা ও পশু মালিকরা।

হাটটিতে ছোট, বড় আর মাঝারি আকারের গরু থাকলেও এর মধ্যে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ব্যক্তিগত কিংবা দলগত কোরবানির জন্য বেড়েছে মাঝারি আকারের গরুর কদর। তবে গরুর চেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ছাগলের। দামে কম হওয়ায় এককভাবে কোরবানির জন্য ছাগল কিনছেন অনেকেই। এছাড়াও কোরবানির পশু হিসেবে ভেড়া ও মহিষ কিনছেন অনেকে।

জেলার ৪'শ টি বাণিজ্যিক ও ২২ হাজার পারিবারিক খামারে এবার চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। মেহেরপুর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা আছে ৯০ হাজার ১১২টি; এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ষাড়-বলদ-গাভী মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৮৬৬টি গরু, ৫৯৫টি মহিষ, ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯টি ছাগল এবং ২ হাজার ৮৯০টি ভেড়া রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবার জেলায় কোরবানির উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪০৮টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি পশুর যোগান রয়েছে মেহেরপুরে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার অর্ধেকের বেশি পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে চলে যাবে।