নিজস্ব প্রতিবেদক : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজ দেশে এসে পৌছেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্পাইস জেটের একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকার দ্বিতীয় চালান নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৫টি বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ডভ্যান এসে পৌঁছায়। একে একে এই ভ্যানগুলো ৮ নম্বর গেট দিয়ে বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করে।
সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে কেনা তিন কোটি ডোজের দ্বিতীয় চালান এটি।
দেশে টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান রোববার জানিয়েছিলেন, এই টিকা রাখা হবে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে তিন কোটি ভ্যাকসিন ক্রয়চুক্তির মধ্যে এটি ছিলো দ্বিতীয় চালান।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি দেশে আসে প্রথম করোনার টিকার প্রথম চালান। যেখানে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ছিলো। পরে ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গত দশ কার্যদিবসে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৮ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আর গেলো মাসের ২১ জানুয়ারি ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বিশ লাখ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন উপহার দেয়। এ নিয়ে নিয়ে দেশে ৯০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে সেরাম ইনস্টিটিউটের ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ আর ছয়মাসে তিনকোটি ডোজ করোনার টিকা আসার কথা রয়েছে। এবারের চালানে আসা ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে।