সাইপ্রাসে ইঁদুরের অত্যাচার থেকে ফসল রক্ষা করছে প্যাঁচা

Posted on June 18, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিকে কষ্টের ফসল রক্ষা, অন্যদিকে প্রকৃতিও অক্ষত। এমনটা এখন আর ভাবাই যায় না। ক্ষতিকর পোকা-মাকড় ও জীব-জন্তু নিধনসহ নানা কারণে রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগই যেন কৃষিজ উৎপাদন বাড়ানোর একমাত্র কৌশল হয়ে উঠছে। তবে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে মানুষের এ ভুল ধারণা ভেঙেছে। সেখানে জমিতে ইঁদুরের অত্যাচার থেকে চাষিদের রক্ষা করছে প্যাঁচা।

রিপাবলিক অব সাইপ্রাস ও রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মধ্যবর্তী দিগন্ত বিস্তৃত কৃষিজমি রয়েছে। যার অনেকটাই নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে পড়ে। সীমান্ত এলাকা বলেই ওই জমির ফসলের দেখভালে অসুবিধায় পড়েন চাষিরা।

এদিকে ইঁদুরের উৎপাত দিনে দিনে বেড়েই চলেছিল। বিষ প্রয়োগ ছাড়া সমস্যার অন্য কোনো সমাধানও জানা ছিল না কৃষকদের। এ অবস্থায় মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে আসে ‘বার্ডলাইফ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

সংস্থাটি দুই পক্ষের চাষিদের জানায়, ইঁদুরর উৎপাত থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে প্যাঁচা। প্রস্তাব পছন্দ হতেই কাজ শুরু হয়ে যায়। দেশটির দুই ভাগের সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় বিভিন্ন গাছের ডালে প্যাঁচাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। বসানো হয় ৫০টি কাঠের বাক্স।

পাশাপাশি বার্ডলাইফের সদস্যরা কৃষকদের জানিয়ে দেন, আপাতত কোনোভাবেই জমিতে ইঁদুর মারা বিষ দেওয়া যাবে না। ব্যাস, এতেই দারুণ সফলতা আসে। প্যাঁচারা মানুষের তৈরি বাসার সুযোগ নেয়। তাদের খাদ্যে পরিণত হয় চাষের জমিতে উৎপাত করা শত শত ইঁদুর।

পরিসংখ্যান বলছে, বছরে কম করে হলেও পাঁচ হাজার ইঁদুর মারে চাষের জমির আশপাশে বাসা বাঁধা প্যাঁচারা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বার্ডলাইফ সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপে কমে আসা ‘বার্ন’ প্রজাতির প্যাঁচা সাইপ্রাসে ‘কৃষকবন্ধু’ হয়ে উঠেছে।

এ পাখির মাধ্যমে এক কাজে তিন কাজ করে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। একদিকে যেমন ইঁদুরের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেন চাষিরা, তেমনই জমিতে বিষ প্রয়োগ করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি প্যাঁচাগুলো পুনর্বাসনের সুযোগ পেয়ে বংশবিস্তার করছে, তাদের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সূত্র: ইএনসিএ