সাতক্ষীরার কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৪শ কেজি ওজনের "সম্রাট"

Posted on June 17, 2023

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা : এবারের পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য খামারে প্রস্তত করা হয়েছে ৮ ফুট উচ্চতা ও ১০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের প্রায় ১৪শ কেজিে ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে "সম্রাট"।ষাঁড় গরুটি প্রায় ৪ বছর ধরে লালন পালন করে বড় করেছেন সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটার চৌগাছা গ্রামের কৃষক শেখ আব্দুল আলিম।

ষাঁড় গরুটির খাদ্য হিসাবে খাবারের তালিকায় রেখেছে দৈনিক খুদের ভাত, ভুষি, ভুট্টা, খেশারী, খৈল, কালোজিরা, খড় ও ঘাস। যা গড়ে প্রতিদিন খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা।প্রায় ১৪শ কেজি ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটি নিজ সন্তানের মতন ৪ বছর ধরে লালন-পালন শেষে এবারের ঈদুল আযহায় তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।বিশাল হাতি আকৃতির এ গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ষাঁড় গরুটি দেখতে ভিড় জামাচ্ছে মানুষেরা।

কৃষক শেখ আব্দুল আলিম বলেন, জাত নির্ণয় করে গরুর বাছুর ক্রয় করে তা লালন পালন শুরু করি। কিছুদিন যেতেই গরুটির খাওয়ার চাহিদা দেখে বুঝতে পারি আকৃতি অনেক বড় হবে। তাই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াতে থাকি, খাবারে তালিকায়, খুদ, ভুষি,ভুট্টা, খেশারী, খৈল, কালোজিরা সহ ঘাস খাওয়ানো হতো। ২ বছর পর হওয়ার পর থেকে গরুর খাবারের পরিমান বৃদ্ধি পায়। যা গড় প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকার খাবার লাগে। খাবারের পরিমান হিসেবে গরু পালনে অনেক খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে গরু পালনে যে খরচ হয়েছে তা ওঠানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, সংসারের চাহিদা মিটিয়ে গরুটি পালন করতে ঋণ হতে হয়েছে। নেশা ও শখের বসে এ বিশাল গরু পালন করতে তাঁর পরিবার চালাতপ হিমসিম খেতে হচ্ছে। গরুটি প্রতিদিন দেখতে শত শত লোক আসে। বর্তমানে গরুটি অনেক বড় হয়েছে প্রায় ১৪ শ কেজির বেশি ওজন। ১৫ লক্ষ টাকা দাম চেয়েছি অনেকে এসে দাম বলছে তবে দরদামে না পুশালে বিক্রি করবো না আরও কিছু দিন অপেক্ষা করবো।

সাতক্ষীরা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ জানান, অনেকে খামারে শখের বসে ২-৪ বছর রেখে গরু বড় করে। জেলায় বিভিন্ন খামারে বেশ কিছু শহিওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সি ও ক্রাস জাতের গরু রয়েছে। যে গুলো আনুমানিক ওজন ৪শ-১হাজার কেজি ওজনের হয়ে থাকে। সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা এলাকায় একজন কৃষকের খামারে ১২শ কেজির উপরে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু রয়েছে। জেলায় এ বছর ৯৯২৬টি খামারে কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি পশু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত থেকে যাবে।